নিজ ঘরে ঝুলছিল গৃহবধূর মরদেহ, পরিবারের দাবি হত্যা

হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২০:৫৯
শেয়ার :
নিজ ঘরে ঝুলছিল গৃহবধূর মরদেহ, পরিবারের দাবি হত্যা

চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে মেহেরুন্নেছা (২১) নামের এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার বিকেলে হাটহাজারী পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ড আলীপুর এলাকায় গৃহবধূর শ্বশুর বাড়ির নিজ ঘর থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

নিহতের পরিবারের দাবি, গৃহবধূ মেহেরুন্নেছাকে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা করছেন শ্বশুর বাড়ির লোকজন। এ ঘটনায় পুলিশ নিহতের দেবর মো. সাইফুল ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহত মেহেরুন্নেছা ওই গ্রামের বশির আহাম্মদের ছেলে প্রবাসী ওয়াহিদুল আলম মঞ্জুর স্ত্রী এবং উপজেলার চিকনদণ্ডী ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের লাল মিয়া মিস্ত্রীর বাড়ির আবদুল কাদেরের মেয়ে। গত বছরের অক্টোবর মাসে পারিবারিকভাবে মেহেরুন্নেছার সঙ্গে মঞ্জুর বিয়ে হয়।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, বিয়ের পর ছুটি শেষে মঞ্জুর পুনরায় দেড় মাস আগে বিদেশে নিজ কর্মস্থলে ফিরে যান। সবকিছু ঠিকঠাকই চলছিল। এরমধ্যে মঙ্গলবার রাতে প্রতিদিনের মতো খাবার শেষ করে নিজের কক্ষে ঘুমাতে যান ওই গৃহবধূ। গতকাল বুধবার সকালে পরিবারের সবাই ঘুম থেকে উঠে যে যার কাজে চলে যান। এদিকে বেলা ১০টা পেরিয়ে গেলেও গৃহবধূ মেহেরুন্নেচ্ছা তার কক্ষের দড়জা না খোলায় পরিবারের সদস্যরা তাকে ডাকাডাকি করেন। কোনো সাড়া শব্দ না পেয়ে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে দেখতে পান ঘরের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচানো অবস্থায় তার মরদেহ ঝুলছে।

খবর পেয়ে হাটহাজারী মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি শেষে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠান।

নিহতের খালু মো. ফোরকান জানান, যৌতুকের জন্য দেবর, ননদ ও শাশুড়ি মেরুন্নেচ্ছাকে বিভিন্ন সময় মানসিক নির্যাতন করতো। শ্বশুর পক্ষের লোকজন তাকে হত্যা করে মরদেহ ঝুলিয়ে দিয়ে আত্মহত্যা বলে প্রচার করছেন। আমরা এ ঘটনায় মডেল থানায় হত্যা মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছি।

হাটহাজারী মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আলি আকবর বলেন, সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ চমেক হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়ে দিয়েছি। এছাড়া জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের দেবরকে আটক করা হয়েছে।

হাটহাজারী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান বলেন, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।