বিদ্যুতে ব্যবহৃত গ্যাসের দাম বাড়ল
বিদ্যুতে ব্যবহৃত গ্যাসের দাম প্রতি ঘনমিটারে ৭৫ পয়সা বেড়েছে। একইসঙ্গে কলকারখানায় ব্যবহৃত ক্যাপটিভ বিদ্যুতের গ্যাসের দামও প্রতি ঘনমিটার ৭৫ পয়সা বাড়িয়েছে সরকার।
আজ মঙ্গলবার বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ অধিশাখা থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে এ দাম বাড়ানো হয়।
রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে উপসচিব শেখ মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়- সরকারি, আইপিপি ও রেন্টাল উৎপাদন কেন্দ্রের গ্যাসের দাম ১৪ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৪ টাকা ৭৫ পয়সা করা হয়েছে। আর ক্যাপটিভ পাওয়ার প্ল্যান্ট, স্মল পাওয়ার প্ল্যান্ট ও বাণিজ্যিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের গ্যাসের দাম ৩০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০ টাকা ৭৫ পয়সা করা হয়েছে। চলতি মাস থেকেই এ দাম কার্যকর হবে।
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
বিদ্যুৎকেন্দ্রে ব্যবহৃত গ্যাসের দাম বাড়লেও বাসাবাড়ি ও পরিবহনের গ্যাসের দাম বাড়েনি। তবে এর ফলে বিদ্যুতের উৎপাদন খরচ বাড়বে। দুই-একদিনের মধ্যে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির আদেশ আসতে পারে।
এর আগে আজ দুপুরে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন। সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘বিদ্যুতে ভর্তুকি থেকে বের হওয়ার জন্য দাম সমন্বয় করা হবে। মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকেই বিদ্যুতের এই নতুন দাম কার্যকর হবে।’
আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?
নসরুল হামিদ বলেন, ‘আমাদের লাইফ লাইন গ্রাহক আছেন ১ কোটি ৪০ লাখ। যারা প্রতি ইউনিটে ৪ টাকা বিল দেন। যারা ওপরের দিকে আছেন তারা ৭ টাকা করে দেন। বিপরীতে আমাদের গড়ে উৎপাদন খরচ পড়ে ১২ টাকা। কাজেই সরকারকে একটি বড় অংশ ভর্তুকি দিতে হচ্ছে। আর এই ভর্তুকির পরিমাণ আরও বেড়েছে ডলারের দামের কারণে।’
সরকার বিদ্যুতে বর্তমানে বছরে ৪৩ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দেয় জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সরকারের ভর্তুকি গত বছর থেকে লাফিয়ে বাড়ছে। তাই আমরা সময়মতো ধীরে ধীরে এটি সমন্বয় করতে চাই। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে, আগামী ৩ বছরে আমরা বিদ্যুতের দাম সমন্বয় করব। তাই সহনীয় পর্যায়ে যেন বিদ্যুতের দাম সমন্বয় হয়, আমরা সেই ব্যবস্থাই নিয়েছি। আমরা অল্প অল্প করে দাম বাড়াচ্ছি।’