মেহেরপুরে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামী গ্রেপ্তার

গাংনী (মেহেরপুর) প্রতিনিধি
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬:৪৯
শেয়ার :
মেহেরপুরে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামী গ্রেপ্তার

দৈনিক বণিক বার্তার সাবেক সহকারী বিজ্ঞাপন ম্যানেজার ও মেহেরপুরের গাংনীর মালসাদহ গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম কাউসার হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামী আবু সাদাত মো. ফয়সাল ওরফে প্যাডিকে (৪১) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার দিবাগত রাতে গাংনী থানা পুলিশের একটি টিম র‍্যাব—২ শেরেবাংলা নগর ক্যাম্পের সহায়তায় তাকে তুরাগ থানাধীন বাউনিয়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে। পরে মঙ্গলবার দুপুরে মেহেরপুর জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।

আবু সাদাত গাংনী উপজেলার শিশিরপাড়ার মৃত মাহাতাব উদ্দিনের ছেলে। প্যাডির নামে খাগড়াছড়ি জেলায় একটি হত্যা মামলা এবং অস্ত্র গুলি ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে গাংনী থানাসহ অন্যান্য থানায় আরও ৬টি মামলায় গ্রেপ্তারি পরওয়ানা রয়েছে। তিনি গাংনী থানা পুলিশের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী।

জানা গেছে, জাহাঙ্গীর আলম কাউসার ২০১৫ সালের শুরু দিকে বণিক বার্তায় সহকারী বিজ্ঞাপন ম্যানেজার হিসেবে জয়েন করেন। পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন ঢাকায়। ২০১৫ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর বাসা থেকে অফিসের উদ্দেশ্যে বের হয়ে নিখোঁজ হন। তিন দিন পর খিলক্ষেত এলাকার নামাপাড়া বোর্ডঘাট এলাকার একটি বাসায় সুটকেস ভর্তি অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় প্যাডি এবং তার সহযোগী রাইহান, নাজমুল হাসান রাকিব ও ফয়সাল ফাহিম নামের ৪ জনকে আসামী করে খিলক্ষেত থানায় মামলা করেন জাহাঙ্গীর হোসেন কাউসারের স্ত্রী রোক্সানা। প্যাডির কাছে পাওনা টাকা লেনদেনকে কেন্দ্র করে পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করা হয়েছে মর্মে এজাহারে উল্লেখ করা হয়। পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে। পরে ঢাকা মেট্রোপলিটন স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিজ্ঞ বিচারক ২০১৮ সালে প্রধান আসামী আবু সাদাত ওরফে প্যাডিকে মৃত্যুদণ্ড ও অন্যান্য আসামীদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।

গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) মনোজিৎ কুমার নন্দী জানান, জাহাঙ্গীর আলম হত্যা মামলায় জামিনের পর থেকে প্যাডি ছিলেন আত্মগোপনে। এ মামলায় রায় ঘোষণা হলেও তিনি আত্মগোপনে ছিলেন। তিনি ঢাকার বাউনিয়া এলাকায় রুবেল নামে বসবাস করছিলেন। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তার অবস্থান নিশ্চিত হয়ে এসআই জহির রায়হান র‍্যাবের সহায়তা তাকে গ্রেপ্তার করে গাংনী থানায় নিয়ে আসে।