ইসরায়েলি দূতাবাসের সামনে শরীরে আগুন দেওয়া সেই মার্কিন সেনার মৃত্যু
গাজা যুদ্ধের প্রতিবাদে ওয়াশিংটন ডিসিতে ইসরাইলি দূতাবাসের সামনে নিজের শরীরে আগুন দেওয়া মার্কিন বিমানবাহিনীর সেই সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল সোমবার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিসহ একাধিক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় রোববার বিকেলে ওই মার্কিন সেনা দূতাবাসের সামনে নিজের শরীরে আগুন দেন। এ সময় তাকে ‘ফ্রি ফিলিস্তিন বা ফিলিস্তিনকে মুক্ত করো’ স্লোগান দিতে শোনা গেছে। পরে তাকে উদ্ধার করে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সেখানকার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
বিমানবাহিনীর ওই সদস্য ২৫ বছর বয়সী অ্যারন বুশনেল বলে জানা গেছে। তিনি টেক্সাসের বাসিন্দা।
মার্কিন গণমাধ্যমের খবরের বরাতে এএফপি জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের লাইভ ভিডিও স্ট্রিমিং টুইচে ক্লান্ত অবস্থায় ওই ব্যক্তিকে বলতে শোনা যায়, তিনি আর গণহত্যার মতো অপরাধে নিজেকে জড়াতে চান না। এরপরই তিনি নিজের শরীরে তরলজাতীয় দাহ্য পদার্থ ঢেলে আগুন ধরান।
আরও পড়ুন:
রোগীর পেটে জীবন্ত মাছি!
রোববার বিকেলে ইসরায়েলি দূতাবাসের বাইরে আগুন লাগার একটি বার্তা পেয়ে ফায়ার ডিপার্টমেন্টের সদস্যরা ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। তারা এসে দেখেন সিক্রেট সার্ভিসের অফিসাররা ইতিমধ্যেই ওই সেনার শরীরের আগুন নিভিয়ে ফেলেছেন।
ফায়ার ডিপার্টমেন্ট জানায়, লোকটিকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার ওই সেনার মৃত্যু হয়।
এদিকে এক বিবৃতিতে ইসরাইলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়, আত্মহত্যার চেষ্টা করা ওই ব্যক্তির সঙ্গে দূতাবাসের কোনো কর্মীর পরিচয় বা সম্পর্ক নেই।
আরও পড়ুন:
২৫ জিম্মিকে মুক্তি দিল হামাস
ঘটনার সময় দূতাবাসের কাছেই একটি গাড়ি রাখা ছিল। গাড়িটিতে বোমা থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছিল। পরে বোমা নিষ্ক্রিয়কারী ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে গাড়িটিতে তল্লাশি চালায়। যদিও গাড়িতে বিপজ্জনক কোনো কিছুই পাওয়া যায়নি।
ইসরাইলি দূতাবাসের একজন মুখপাত্র মার্কিন গণমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমসকে নিশ্চিত করেছেন, এ ঘটনায় তাদের কোনো কর্মী আহত হয়নি। তবে ঘটনার পর দূতাবাস এলাকার নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।