একতরফা নির্বাচিত সরকার টিকে থাকতে পারবে না: জয়নুল আবেদীন

শ্রীপুর(গাজীপুর) প্রতিনিধি
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:৪০
শেয়ার :
একতরফা নির্বাচিত সরকার টিকে থাকতে পারবে না: জয়নুল আবেদীন

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন বলেছেন, ‘একতরফা ভুয়া নির্বাচন করে কখনো সরকার টিকে থাকতে পাড়বে না। গণতন্ত্র হত্যা করে আইয়ুব খান, এরশাদ টিকে থাকতে পারেনি। পৃথিবীতে কেউ টিকে থাকতে পারেনি। এই সরকারও পারবে না।’

আজ মঙ্গলবার দুপুরে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের ধামলই গ্রামে কারাগারে বন্দি অবস্থায় নিহত বিএনপির নেতা আসাদুজ্জামান খান হিরার পরিবারের খোঁজ নিতে এসে তিনি এ কথা বলেন।

জয়নুল আবেদিন বলেন,‘সরকার মানবতায় বিশ্বাস করে না। যারা জেলখানায় বন্দী থাকে তাদের স্বাস্থ্য রক্ষার দায়িত্ব সরকারে। গণতন্ত্র রক্ষার আন্দোলন করার কারণে তাদেরকে জেলে পুড়ে হত্যা করা হয়েছে।’

দ্বাদশ নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সরকার একতরফা নির্বাচন করেছে। এটি ফ্যাসিস্ট সরকার। ডামি নির্বাচন করে ক্ষমতা দখল করেছে। এ নির্বাচনকে দেশের মানুষ তথা বিশ্ববাসী মেনে নেয়নি। জনগণ নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে। দেশের ৯৫ ভাগ মানুষ নির্বাচন বর্জন করেছে। ফ্যাসিষ্ট সরকার অনতিবিলম্বে বিদায় নেবে।’

তৃণমূলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আগামীতে সরকারের বিরুদ্ধে কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলা হবে। তৃণমূলে বিএনপি অনেক শক্তিশালী। আন্দোলন আরও বেগবান হবে। আন্দোলন করে সরকারকে বিদায় করা হবে।’

বিএনপির সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট তারেক রহমানের নির্দেশনায় দেশব্যাপী নিহতদের খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। তারই অংশ হিসেবে হিরা খানের বাড়িতে আসা।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সুস্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা.মো. রফিকুল ইসলাম বাচ্চু, সদস্য ওমর ফারুক সাফিন, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল হান্নান,উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. শাহজাহান ফকির, সাধারণ সম্পাদক মো.আক্তারুল আলম মাষ্টার, জেলা বিএনপির নেতা মো.আ. সোতালেব, ডা. মো.শফিকুল ইসলাম, পৌর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মারুফ শেখ, সাধারণ সম্পাদক মো. বিল্লাল হোসেন বেপারীসহ বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।

জয়নুল আবেদিন নিহত বিএনপি নেতা হিরা খানের কবর জিয়ারত করেন। পরে তার স্ত্রী সন্তানদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। নিহত আসাদুজ্জামান খান হিরা উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের ধামলই গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ওই ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

 গতবছরের ২৮ অক্টোবর ঢাকায় বিএনপির কেন্দ্রীয় মহাসমাবেশে অংশ নেন হিরা। রাতে বাড়ি ফেরার পথে শ্রীপুর রেলস্টেশন থেকে গ্রেপ্তার হন তিন। শ্রীপুর থানার একটি বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলায় তাকে পরদিন আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ। পরে কাশেমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এ থাকাবস্থায় গত ১ ডিসেম্বর সকাল দশটায় বুকে ব্যথায় অসুস্থ হন হিরা। কারাকর্তৃপক্ষ তাকে গাজীপুর শহিদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরদিন দুই ডিসেম্বর নিজ গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়।