পটুয়াখালীতে মেয়র প্রার্থীর বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ
পটুয়াখালী পৌরসভা নির্বাচনে আচারণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে মেয়র প্রার্থী বর্তমান মেয়র মহিউদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে। পলিথিন মোড়ানো পোষ্টার টানানোর ব্যাপারে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তা মানছেন না তিনি। অন্যান্য প্রার্থীরা পলিথিন ব্যবহার না করলেও মেয়র মহিউদ্দিন সেটি করছেন।
গত ২৩ ফেব্রুয়ারি প্রতীক বরাদ্দের পরপরই প্রায় সকল প্রার্থীরা নির্বাচন কশিনের নিয়ম অনুযায়ী পোষ্টার ব্যবহার করছেন। তবে গতরাত থেকে নির্বাচন অফিসের নির্দেশনা অমান্য করে শহরের পৌরসভা মোড়, সিঙ্গারা পয়েন্ট, কলেজ রোড, জুবিলী স্কুল সড়কসহ বেশকিছু সড়কে জগ মার্কার মেয়র প্রার্থী মহিউদ্দিনের পোষ্টারে পলিথিন ব্যবহার করতে দেখা গেছে। যা নিয়ে অন্যান্য প্রার্থীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের পরিপত্র ২ এর ২১নং ক্রমিকে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, “স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ পূর্বক প্রচার প্রচালনা পরিচালনায় এবং নির্বাচনী প্রচারনায় পোষ্টার ব্যবহারে প্লাষ্টিক দিয়ে মোড়ানো বা পোষ্টার প্লাষ্টিক পলিথিন লেমেনিটিং করে ব্যবহার না করাসহ ইতিপূর্বে নির্দেশনা প্রদান করতে হবে’। এই ধারা উল্লেখ করে প্রতিক বরাদ্দের দিন জেলা নির্বাচন অফিসার পলিথিন মোড়ানো পোস্টার না লাগাতে নির্দেশনা দেন।’
কিন্তু নির্বাচন কমিশনের নিয়ম নীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে রবিবার রাত থেকে মেয়র প্রার্থী মহিউদ্দিন আহমেদ পলিথিন মোড়ানো পোষ্টার সাঁটিয়েছে গোটা শহরে। মুহূর্তের মধ্যে বিষয়টি অন্যান্য সকল প্রার্থীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। কারণ ২৩ ফেব্রুয়ারি গত রাত পর্যন্ত অন্যান্য প্রার্থীদের পলিথিন ছাড়া টানানো পোষ্টার গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি আর কুয়াশায় নষ্ট হয়েছে কয়েকবার।
অথচ শহরের পৌরসভা মোড়, সিঙ্গারা পয়েন্ট, কলেজ রোড, জুবিলী স্কুল সড়কসহ বেশকিছু সড়কে জগ মার্কার মেয়র প্রার্থী মহিউদ্দিনের টানানো পোষ্টারে পলিথিন ব্যবহার করতে দেখা গেছে।
মেয়র প্রার্থী ডা. মো. শফিকুল ইসলাম জানান, সকালে পোস্টার লাগানো হলেও বিকালে হাল্কা বৃষ্টি হওয়ার কারণে সেই পোষ্টার নষ্ট হয়ে যায়। তাই পরেরদিন সকালে আবার পোষ্টার লাগাই, তবুও নির্বাচন কমিশনের আইন মেনে পোষ্টারে পলিথিন ব্যবহার করিনাই। কিন্তু কেন শুধুমাত্র একজন প্রার্থী তার পোষ্টারে পলিথিন ব্যবহার করবে? এগুলো কি জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা দেখেন না? আমার মতে, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের উচিত বিষয়টি দেখার।
পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী বর্তমান কাউন্সিলর মো. জাহিদ হোসেন জানান, প্রতীক বরাদ্দের দিন জেলা নির্বাচন অফিস থেকে আমাদেরকে বলা হয়েছে পোষ্টারে পলিথিন ব্যবহার করা যাবে না। পোষ্টারে পলিথিন লাগানো আইনগত দণ্ডনীয় অপরাদ। যে কারণে আমরা পোষ্টারে পলিথিন ব্যবহার করি নাই।
৪নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী মো. খলিলুর রহমান জানান, নির্বাচন অফিসের নিষেধাজ্ঞা থাকায় পোষ্টারে পলিথিন লাগাই নাই। দেয়ালে পোষ্টার, আঠা, পলিথিন লাগানো সম্পূর্ণ নিষেধ।
জানতে চাইলে জগ মার্কার মেয়র প্রার্থী বর্তমান মেয়র মহিউদ্দিন আহমেদ জানান, এগুলো ভুলে লাগানো হয়েছে। যারা লাগিয়েছে তারা ভুল করেছে। আমি তাদেরকে সরিয়ে ফেলতে বলেছি।
পটুয়াখালী জেলা রিটার্নিং অফিসার ও জেলা সিনিয়র নির্বাচন অফিসার খান আবি শাহানুর খান জানান, নির্বাচনী আচরণবিধিতে বলা হয়েছে কোনো প্রার্থী তাদের পোষ্টারে পলিথিন ব্যবহার করতে পারবে না। যদি কেউ পলিথিন ব্যবহার করে থাকে তবে আমাদের বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবে।