বস্ত্রখাতে অবদানের জন্য সম্মাননা পাচ্ছে ১১ সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান

অনলাইন ডেস্ক
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:১০
শেয়ার :
বস্ত্রখাতে অবদানের জন্য সম্মাননা পাচ্ছে ১১ সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান

বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক জানিয়েছেন, জাতীয় বস্ত্র দিবস উপলক্ষে বস্ত্রখাতের উন্নয়ন, উৎকর্ষতা সাধন, বস্ত্র শিক্ষার সম্প্রসারণ এবং রপ্তানি বাড়াতে ভূমিকা রাখায় সম্মাননা পাচ্ছে ১১টি সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান।

আজ রবিবার সচিবালয়ে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে জাতীয় বস্ত্র দিবস উদযাপনের বিস্তারিত তুলে ধরে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী।

মন্ত্রী জানান, সম্মাননার জন্য নির্বাচিত প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনগুলো হলো বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএমইএ), বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিকেএমইএ), বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ), বাংলাদেশ স্পেশালাইজড টেক্সটাইল মিলস অ্যান্ড পাওয়ারলুম ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশন (বিএসটিএমপিআইএ), বাংলাদেশ কটন অ্যাসোসিয়েশন (বিসিএ), বাংলাদেশে গার্মেন্ট বায়িং হাউজ অ্যাসোসিয়েশন (বিজিবিএ), বাংলাদেশ টেরিটাওয়েল অ্যান্ড লিনেন ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিটিটিএলএমএ), বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় (বুটেক্স), বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যাকসেসরিজ অ্যান্ড প্যাকেজিং ম্যানুফ্যাকচার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএপিএমএ), বাংলাদেশ এমব্রয়ডারি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিইএমইএ) এবং বাংলাদেশ তাঁতী সমিতি।

সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের বস্ত্রশিল্পের ইতিহাস সুপ্রাচীন এবং গৌরবময়। বস্ত্র খাত দেশের অর্থনীতি, সমাজ ও সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। বস্ত্র খাতের সক্ষমতা বৃদ্ধি, যুগোপযোগীকরণ ও বিনিয়োগে আকৃষ্টকরণ এবং অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বাজারে চাহিদা বৃদ্ধির ব্যাপক প্রচারের লক্ষ্যে প্রতি বছর ৪ ডিসেম্বর ‘জাতীয় বস্ত্র দিবস’ দেশব্যাপী উদযাপন করা হয়ে থাকে। দেশের রপ্তানি আয়ের সিংহভাগ আসে বস্ত্রখাত থেকে। দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়ন, দারিদ্র্য বিমোচন, নারীর ক্ষমতায়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতেও বস্ত্র খাত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।’

তিনি বলেন, ‘বর্তমান সরকারের নির্বাচনী ইশতেহারে উদ্যোক্তা শ্রেণীকে আকৃষ্ট করার লক্ষ্যে যথোপযুক্ত নীতি প্রণয়ন ও কর্মসূচি গ্রহণ, প্রতিযোগিতামূলক বাজারব্যবস্থা, উদ্ভাবনী প্রযুক্তি, উপযুক্ত ভৌত অবকাঠামো এবং অভ্যন্তরীণ বাজার সম্প্রসারণ নীতিমালা সংবলিত স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিপ্রেক্ষিত পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে মর্মে অঙ্গীকার করা হয়েছে। এ অঙ্গীকার বাস্তবায়নে সরকার বস্ত্র খাতের উন্নয়নে বিভিন্ন কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করছে। এ ছাড়াও বর্তমান সরকারের রূপকল্প-২০৪১ বাস্তবায়নের অঙ্গীকার মোতাবেক মিশন, ভিশন প্রস্তুত ও কার্যাবলি নির্ধারণ করা হয়েছে।’ 

মন্ত্রী জানান, ‘দিবসটি উপলক্ষে আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) বস্ত্র দিবসের মূল অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন প্রধান অতিথি থেকে ওই অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করবেন। এ অনুষ্ঠানে বস্ত্র খাতের উন্নয়ন, উৎকর্ষতা সাধন, বস্ত্র শিক্ষার সম্প্রসারণ ও রপ্তানি বাড়াতে ভূমিকা রাখায় ১১টি সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানকে সম্মাননা দেওয়া হবে।’

জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ‘দেশের অর্থনীতিতে ‘বস্ত্র খাত’ দেশের প্রধান বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী খাত। সরকার বস্ত্র খাতের অংশীজনদের সঙ্গে সমন্বয় করে এ খাতের উন্নয়ন গতিশীল রাখার পাশাপাশি বস্ত্র অধিদপ্তর কর্তৃপক্ষের সকল সেবা ওয়ানস্টপ সার্ভিসের মাধ্যমে দ্রুততম সময়ে সরবরাহ করছে। বস্ত্র শিল্পের উন্নয়ন ও বিকশিত করার নিবন্ধিত বস্ত্রশিল্প প্রতিষ্ঠান পরিদর্শনের মাধ্যমে কমপ্লায়েন্স পর্যবেক্ষণ ও নিশ্চিত করা হচ্ছে। বর্তমানে তৈরি পোশাক শিল্পে উন্নতমানের ২০৬টি সবুজ কারখানার (গ্রিন ফ্যাক্টরি) নেতৃত্ব দিচ্ছে বাংলাদেশ।’ 

সাম্প্রতিক ভারত সফরে তিস্তা ইস্যু নিয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘তিস্তা ইস্যু নিয়ে অনেক দূর আলোচনা এগিয়ে রয়েছে। এখন আমরা সমাপ্তির জন্য অপেক্ষা করছি।’

এ সময় বস্ত্র ও পাট সচিব মো. আব্দুর রউফ, বস্ত্র অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. নূরুজ্জামানসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘স্মার্ট টেক্সটাইলে সমৃদ্ধ দেশ-বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’।