বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ শেষ চারে রোমাঞ্চ
চলমান বাংলাদেশ প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগের (বিপিএল) খেলা শেষের দিকে। প্রাথমিক পর্বের খেলা শেষ হয়েছে। এবার ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে চারটি দল পরস্পরের বিপক্ষে লড়াই করবে। আগামীকাল সোমবার প্রথম কোয়ালিফায়ারে লড়বে প্রাথমিক পর্বে পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষে থাকা দুটি দল রংপুর রাইডার্স (১৮ পয়েন্ট) ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স (১৬ পয়েন্ট)। এই কোয়ালিফায়ারে জয় পাওয়া দল সরাসরি ফাইনালে উঠবে এবং হেরে যাওয়া দল দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে খেলার সুযোগ পাবে। অন্যদিকে একই দিন এলিমিনেটর ম্যাচে পয়েন্ট টেবিলে তিন নম্বরে থাকা ফরচুন বরিশাল (১৪ পয়েন্ট) এবং চার নম্বরে থাকা চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স (১৪ পয়েন্ট) পরস্পরের বিপক্ষে মাঠে নামবে। এই ম্যাচের জয়ী দল দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে উঠবে এবং হেরে যাওয়া দলের টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিশ্চিত হয়ে যাবে। এই চার দলের শেষের রোমাঞ্চ দেখার অপেক্ষায় ক্রিকেটপ্রেমীরা। দুই কোয়ালিফায়ারে জয়ী দল ফাইনাল খেলবে। ১ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচটি।
বিপিএলের প্রাথমিক পর্বের দীর্ঘ যাত্রায় ব্যাটিং ও বোলিংয়ে নজর কেড়েছেন দেশের ক্রিকেটাররা। ব্যাটিংয়ে আলো কেড়েছেন তামিম ইকবাল খান। অভিজ্ঞ এই ওপেনার দীর্ঘ দিন ধরে জাতীয় দলের বাইরে থাকলেও বিপিএলের মারকাটারি ক্রিকেটে নিজেকে মেলে ধরেছেন। ১২ ম্যাচ খেলে সর্বোচ্চ ৩৯১ রান সংগ্রহ করেছেন বরিশালের হয়ে খেলা তামিম। এর মধ্যে দুটি ফিফটির ইনিংস রয়েছে তার। এ জন্য ৩১০ বল মোকাবিলা করেছেন তিনি। তার স্ট্রাইক রেট হলো ১২৬.১২। তামিমের পরের অবস্থানেই রয়েছেন অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের তাওহিদ হৃদয় (২৮৩), চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের তানজিদ হাসান তামিম (৩৮২), দুর্দান্ত ঢাকার অ্যালেক্স রস (৩৫২), বরিশালের মুশফিকুর রহিম (৩১৪), ঢাকার মোহাম্মদ নাঈম (৩১০)। বিপিএলে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের স্কোর ছিল তানজিদ তামিমের (১১৬ রান)। এছাড়া কুমিল্লার হয়ে সেঞ্চুরি পেয়েছেন হৃদয় (১০৮*) ও উইল জ্যাকস (১০৮*)। তানজিদ তামিম ও হৃদয় সর্বোচ্চ ২০টি করে ছক্কা হাঁকিয়েছেন।
আরও পড়ুন:
স্পিনে ভরসা রাচিনের
বিপিএলে বোলিংয়ে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন দুর্দান্ত ঢাকার পেসার শরিফুল ইসলাম। ১২ ম্যাচ খেলে তিনি সর্বোচ্চ ২২ উইকেট শিকার করেছেন। এর মধ্যে তার সেরা বোলিং ফিগার ছিল ৪/২৪। শুধু তাই নয়, হ্যাটট্রিক করার গৌরবও অর্জন করেন শরিফুল। এ ছাড়া রংপুরের হয়ে সাকিব ১৭ (১১ ম্যাচ খেলে), মেহেদী হাসান ১৫ (১২ ম্যাচ খেলে) উইকেট শিকার করেছেন। রংপুরের হয়ে আবু হায়দার রনি ম্যাচে মাত্র ১২ রানে ৫ উইকেট শিকার করে আলোচনার জন্ম দিয়েছেন। এ ছাড়া কুমিল্লার হয়ে পাকিস্তানের আমির জামাল ও রংপুরের হয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার ইমরান তাহির ৫ উইকেট শিকারের কৃতিত্ব দেখান। অন্যদিকে উইকেটের পেছনে সবচেয়ে সফল ছিলেন রংপুরের হয়ে খেলা নুরুল হাসান সোহান ও বরিশালের হয়ে খেলা মুশফিক। সোহান ১৪ ও মুশফিকের নামের পাশে ১৩টি ডিসমিসালের রেকর্ড রয়েছে। এ ছাড়া ফিল্ডিংয়ে বেশি নজর কেড়েছেন ঢাকার হয়ে খেলা মোহাম্মদ নাঈম ও চট্টগ্রামের নাহিদুজ্জামান। দুজনই সর্বোচ্চ ৮টি করে ক্যাচ নেন।
আরও পড়ুন:
সূর্যর সাফল্যের মন্ত্র