প্রথম স্বামীর সঙ্গে ফের বিয়ের দিন মিলল গলাকাটা মরদেহ
মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার ধানকোড়া ইউনিয়নে শারমীন আক্তার (৩০) নামের এক গৃহবধূকে গলাকাটে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। আজ শনিবার দুপুর ১২টার দিকে ইউনিয়নের ধোতরা গ্রামের কৃষি ইনস্টিউটিটের পশ্চিম পাশ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত শারমিন ওই ইউনিয়নের বরুন্ডি গ্রামের মানু শিকদারের মেয়ে।
মানু শিকদার বলেন, ‘আমার মেয়ের সাথে চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবন নগর থানার হাসাদা গ্রামের তহিরুদ্দীনের ছেলে মনোয়ারের (৪২) ১৫ বছর আগে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। তাদের ঘরে ৩ সন্তান রয়েছে।’
মনোয়ার বলেন, ‘আমাদের সংসার ভালোই চলছিল। আমার স্ত্রী ৫ বছর ধরে ঢাকার ধামরাই উপজেলার গাঙ্গুটিয়া ইউনিয়নের কাওয়াখুলা গ্রামের রতনের সাথে সম্পর্কে জড়িয়ে যায়। এর আগে তারা পালিয়ে গিয়েছিল। তাও আমি সেটা মেনে নেই। গত ২২ জানুয়ারি শারমীন ও রতন পালিয়ে যায়। ২৫ ফেব্রুয়ারি শারমীন আমাকে তালাকনামা পাঠায়। আমাদের ঘরে ৩ সন্তান থাকায় এলাকাবাসী শারমীনকে বুঝিয়ে বরুন্ডি নিয়ে আসে। আজ বিকেলে আমাদের সাথে পুনরায় বিয়ের কথা ছিল। কিন্তু দুপুরেই তাকে হত্যা করা হয়েছে।’
মানু শিকদার বলেন, ‘আমার মেয়েকে দুপুরে প্রথম স্বামীর বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে আসে দ্বিতীয় স্বামী রতন। সন্তানদের কথা চিন্তা করে শারমীনকে ওর প্রথম স্বামীর সঙ্গে পুনরায় বিয়ে দেওয়ার কথা ছিল আজ। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে দ্বিতীয় স্বামী মনোয়ার তাকে গলাকেটে হত্যা করে থাকতে পারে।’
সাটুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সফিকুল ইসলাম মোল্যা বলেন, পরকীয়া সংক্রান্ত ঘটনায় এ হত্যার ঘটনা বলে ধারণা করা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আমরা প্রথম স্বামীকে আটক করেছি। এ ঘটনায় বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত মামলা হয়নি। মামলা হলে দ্বিতীয় স্বামী রতনকেও গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে।
তিনি আরও বলেন, আমারা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করেছি। পরে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।