স্বর্ণের ৪ চালান বেনাপোল পার হলেও ধরা পড়েছে পেট্রাপোলে
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগণার পেট্রাপোল স্থলবন্দরে এক সপ্তাহে চারটি স্বর্ণের চালান জব্দ ও আট পাচারকারীকে গ্রেপ্তার করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। বাংলাদেশের যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরের স্থাপিত চারটি স্ক্যানিং মেশিনের মধ্যে তিনটি বন্ধ থাকায় চোরাকারবারিরা এ সীমান্ত নিরাপদ রুট হিসেবে ব্যবহার করছে।
পেট্রাপোল স্থলবন্দরের তথ্য মতে, গত বুধবার বিকেলে বাংলাদেশের বেনাপোল স্থলবন্দর ফাঁকি দিয়ে ভারতের পেট্রাপোল স্থলবন্দরে গিয়ে এক কেজি স্বর্ণসহ তিন বাংলাদেশি পাসপোর্টধারী আটক হন। আটক ব্যক্তিরা পায়ুপথে স্বর্ণ বহন করছিলেন। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার দেখিয়ে পেট্রাপোল থানা পুলিশে হস্তান্তর করা হয়।
গ্রেপ্তার হলেন- শরীয়তপুরের চিকান্দী উপজেলার বিনোদপুর গ্রামের আবু বক্কর মুন্সী, ঢাকার ওয়াদালোদী তুরাগ এলাকার পারভীন আক্তার (৪৪) ও মানিকগঞ্জের সদর এলাকার তারা গ্রামের সাইফুল ইসলাম এমডি (৪৬)।
এর আগে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি আড়াই কেজি ওজনের ২২টি স্বর্ণের বারসহ আমদানি পণ্যবাহী ভারতীয় ট্রাকচালক রাজু দাস ও সঞ্জিব দাসকে আটক করে বিএসএফ। একই দিনে পাসপোর্টধারী যাত্রী রিবাউদ্দিনকে তিনটি স্বর্ণ বারসহ আটক করে বিএসএফ। এ ছাড়া গত ১৬ ফেব্রুয়ারি ৮৫০ গ্রাম ওজনের স্বর্ণের বারসহ আবু বক্কর হানিফা ও জিয়া উদ্দীন নামে দুই ভারতীয় পাসপোর্টধারীকে আটক করে বিএসএফ। গত ১৩ ফেব্রুয়ারি নাজরীন নাহার নামের এক বাংলদেশি পাসপোর্টধারী পায়ুপথে লুকিয়ে পাচারের সময় ৪ পিস স্বর্ণের বারসহ আটক হন।
ভারতের উত্তর ২৪ পরগণা সাউথ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ারের পাবলিক রিলেশন অফিসার ডিআইজি এ কে আর্য সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, সীমান্ত নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা কোনো অবস্থাতেই সীমান্তে চোরাচালান বা অন্য কোনো ধরনের অপরাধ ঘটতে দেবে না। এর সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদেরও ছাড় দেবে না বিএসএফ।
বেনাপোল কাস্টমসের পক্ষে স্ক্যানিং মেশিন তদারকিতে নিযুক্ত ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ফাইবার অ্যাসোসিয়েটসের বেনাপোল অফিস ব্যবস্থাপক বনি আমিন বলেন, স্ক্যানিং মেরামত করতে বড় অংকের অর্থের প্রয়োজন। সেটি চুক্তি অনুযায়ী কাস্টমস বহন করার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় স্ক্যানিং তিনটির কার্যক্রম বন্ধ আছে।
বেনাপোল স্থলবন্দর কাস্টমসের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা নূর আলম বলেন, ভারত যাওয়ার পথে যাত্রীদের ব্যাগেজ তল্লাশি কাজে ব্যবহৃত স্ক্যানিং মেশিন নষ্ট হয়ে পড়ে থাকায় আপাতত সন্দেহভাজন যাত্রীদের ব্যাগ হাতে তল্লাশি করা হচ্ছে। তবে স্ক্যানিং মেশিনগুলো দ্রুত ঠিক করতে বিদেশ থেকে যন্ত্রাংশ আমদানির ব্যবস্থা করছেন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।