‘হার পাওয়ার’ প্রকল্প প্রধানমন্ত্রীর একটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত: পলক
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘হার পাওয়ার প্রকল্প প্রধানমন্ত্রীর আরেকটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত। বাংলাদেশের নারীদের প্রযুক্তি শিক্ষায় দক্ষ করে গড়ে তুলে আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই প্রকল্প বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।’
আজ শুক্রবার ‘হার পাওয়ার’ প্রকল্পের আওতায় সাতক্ষীরা জেলার নারী প্রশিক্ষণার্থীদের মাঝে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট উপহার ল্যাপটপ বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
‘আমাকে একজন শিক্ষিত মা দাও, আমি একটি শিক্ষিত জাতি দেব’ নেপোলিয়নের উক্তি উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘নেপোলিয়নের এই উক্তির উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় নারীদের ৬০ শতাংশ কোটা নির্ধারণের বঙ্গবন্ধুকন্যার যুগান্তকারী একটা সিদ্ধান্ত আমাদের সমাজে নারীদের সম্মান ও অধিকার প্রতিষ্ঠার চিত্র বদলে দিয়েছে। যে সমাজে নারীদেরকে বোঝা মনে করা হতো, সে সমাজে নারীদের সম্মান প্রতিষ্ঠা হয়েছে, যৌতুক ব্যাধি থেকে নারী সমাজ মুক্ত হয়েছে এবং একইসঙ্গে নারীদের সামাজিক, রাষ্ট্রীয় ও অর্থনৈতিক অধিকারও প্রতিষ্ঠা হয়েছে।’
পলক বলেন, ‘দ্বিতীয়বার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পর ডিজিটাল বাংলাদেশের আর্কিটেক্ট সজীব ওয়াজেদ জয় ভাইয়ের অনুপ্রেরণায় ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ রূপকল্প ঘোষণা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। ডিজিটাল বাংলাদেশের ডিজিটাল সেবা মানুষের হাতের মুঠোয় পৌঁছে দেওয়ার লক্ষে প্রতিষ্ঠিত ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারেও একজন পুরুষের পাশাপাশি একজন নারী উদ্যোক্তাকে সুযোগ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত দেন বঙ্গবন্ধুকন্যা। বর্তমানে ৯ হাজার ডিজিটাল সার্ভিস ডেলিভারি সেন্টারে ৫০ শতাংশ নারী ডিজিটাল উদ্যোক্তারা সেবা প্রদান করছেন।’
প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, ‘সাতক্ষীরার মানুষ এখন শুধুমাত্র মৎস্য সম্পদ রপ্তানি করেই বৈদেশিক মুদ্রা আয় করে না, হার পাওয়ার প্রকল্পে প্রশিক্ষণ নিয়ে আমাদের বোনেরা নিজেদের মেধা ব্যবহার করেও এখন বৈদেশিক মুদ্রা আয় করছে। আমরা বিশ্বাস করি, উচ্চগতির ইন্টারনেট, বিশ্বজয়ের হাতিয়ার কম্পিউটার ও মেধাবী তরুণ প্রজন্মকে প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলার মাধ্যমে এই তারুণ্যের মেধা ও প্রযুক্তির সমন্বয়ে আমরা ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারব।’
অনুষ্ঠানে সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবিরের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা-১ আসনের সংসদ সদস্য ফিরোজ আহম্মেদ স্বপন, সাতক্ষীরা-২ আসনের সংসদ সদস্য মো. আশরাফুজ্জমান, সাতক্ষীরা-৩ আসনের সংসদ সদস্য আ, ফ, ম রুহুল হক, সংসদ সদস্য লায়লা পারভীন সেজুতি, সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম, সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার মুহাম্মদ মতিউর রহমান সিদ্দিকী।
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?