শমসের মবিনের মুখে এবার আওয়ামী লীগের সমালোচনা
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ‘কিংস পার্টি’ হিসেবে পরিচিতি পাওয়া তৃণমূল বিএনপিতে যোগ দেন বিএনপির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী। দলটিতে যোগ দিয়েই হয়ে যান চেয়ারপারসন। দলের হয়ে সিলেট-৬ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচনে অংশ নিয়ে জামানত হারান। নির্বাচন কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের ‘ঘনিষ্ঠ’ হিসেবে পরিচিতি পেলেও এবার তিনি দলটির সমালোচনা করলেন।
আজ শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে তৃণমূল বিএনপির উদ্যোগে দলটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগের সমালোচনা করেন তিনি।
শমসের মবিন চৌধুরী বলেন, ‘নির্বাচনের আগে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলাকারী জেল থেকে মুক্তি পেয়ে আওয়ামী লীগে চলে যায়। এটাই অসুস্থ রাজনীতির দৃষ্টান্ত। যেখানে বিরোধীদল বলে, আমরা যেখানে নির্বাচন করব; সেখানে নৌকা মার্কার প্রার্থী দেওয়া যাবে না। বিরোধী দলের নেতা কে হবে, উপনেতা কে হবে সেটা তাদের কার্যালয় থেকে আসে না। আসেন সরকারি দলের কার্যালয় থেকে।’
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
তিনি বলেন, ‘সুস্থ রাজনীতি, সুশাসনের ভিত্তি স্লোগান নিয়ে তৃণমূল বিএনপি গঠন করেছিলেন নাজমুল হুদা। নিবন্ধের জন্য প্রথমে না করে দেওয়া হয়েছিল। তখন থেকেই একটা অসুস্থ রাজনীতি শুরু হয়েছ। নাজমুল হুদা আদালতের মাধ্যমে নিবন্ধন এনেছিলেন।’
শমসের বলেন, ‘আন্দোলনের অংশ হিসেবে তৃণমূল বিএনপি পরের নির্বাচনে অংশ নেবে। কোনো রাজনৈতিক দল রাতারাতি নির্বাচনে জয়লাভ করে না। যেহেতু তৃণমূল বিএনপি নির্বাচনমুখী, আমরা ভবিষ্যতে নির্বাচনে যাব। আমরা নিজেদের মার্কা নিয়ে নির্বাচন করব। আমরা আগামী যুগের দিকে, আগামী প্রজন্মের দিকে তাকিয়ে আছি। আমরা সুস্থ রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করতে চাই।’
আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?
দলটির মহাসচিব অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার বলেন, ‘দেশের ভালো চায় এমন অনেকে রাজনৈতিক দল আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। নির্বাচনেও আমরা অনেক জনসমর্থন পেয়েছি। আমরা তৃণমূল বিএনপি সুস্থ রাজনীতির পক্ষে একটি জাতীয় ঐক্য গঠনের উদ্যোগ নেব। বাংলাদেশে কিছু তারিখ আছে, যেমন- ২১ আগস্ট, ৩ নভেম্বর। এসব ঐতিহাসিক তারিখের কারণে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের মধ্যে কোনো দিন ঐক্য হবে না। ফলে তারা কোনোদিন দেশে সুস্থ রাজনীতি প্রতিষ্ঠাও করতে পারবে না। আমরা নতুন প্রজন্মকে নিয় সুস্থ রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করব।’