দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাচ্ছে: ওবায়দুল কাদের
বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেও দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
আজ বৃহস্পতিবার রাতে সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের এ কথা বলেন। দ্রব্যমূল্যে নিয়ে বিএনপি নেতাদের মিথ্যাচার ও বিভ্রান্তিকর বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাতেই এই বিবৃতি প্রদান করা হয়।
বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ইতোমধ্যে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে টাস্কফোর্সের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিদেশ থেকে বিভিন্ন ধরনের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানির সুযোগ সম্প্রসারিত করা হয়েছে। আমরা জনগণকে আশ্বস্ত করতে চাই, পবিত্র রমজান মাসে দ্রব্যমূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখতে সরকার সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।’
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘দেশের মানুষের আয় বাড়েনি বলে বিএনপির এক নেতা নির্লজ্জ মিথ্যাচার করছে। অথচ ২০০৬ সালে বিনএপি-জামাত শাসনামলে মাথাপিছু আয় ছিল ৫৪৩ মার্কিন ডলার, বর্তমানে মাথাপিছু আয় ২ হাজার ৭৬৫ মার্কিন ডলার। এই সময়ের ব্যবধানে দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় বেড়েছে ৫ গুণের বেশি।’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘বিএনপির আমলে মঙ্গা-খরা ও দুর্যোগে না খেতে পেয়ে মানুষকে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়তে হতো, অর্ধাহারে-অনাহারে দিনাতিপাত করতে হতো। আর সেখানে বাংলাদেশ আজ সামগ্রিক খাদ্য উৎপাদন কয়েক গুণ বৃদ্ধি করতে এবং খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলে কেউ না খেয়ে মারা যায় না, বরং গৃহহীন মানুষেরও গৃহ ও খাদ্যের সংস্থান করা হয়েছে। এসব তথ্য-উপাত্ত বিএনপি নেতারা দেখতে পায় না। তারা তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে কথা বলে না। গায়ের জোরে মিথ্যাচার করে, অপপ্রচার চালিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে। একইভাবে তারা দ্রব্যমূল্য নিয়েও মিথ্যাচার করে যাচ্ছে। অথচ বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেও দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি নেতারা আজ সরকার বিরোধী সমালোচনার নামে মিথ্যা তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপন করে জাতিকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। এ ধরনের বাক্যালাপে জাতিকে বিভ্রান্ত করার অপপ্রয়াস নিঃসন্দেহে নিন্দনীয়।’
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?