‘শাহ আলমগীর জার্নালিজম এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড’ পেলেন আবুল মোমেন

অনলাইন ডেস্ক
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:২৪
শেয়ার :
‘শাহ আলমগীর জার্নালিজম এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড’ পেলেন আবুল মোমেন

শাহ আলমগীর জার্নালিজম এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড পেলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত প্রখ্যাত সাংবাদিক ও নতুন ধারার দৈনিক আমাদের সময়ের সম্পাদক আবুল মোমেন। আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে এক অনুষ্ঠানে তার হাতে এই পদক তুলে দেওয়া হয়। 

এর আগে গত বুধবার জুরিবোর্ড তার নাম ঘোষণা করে। প্রয়াত সাংবাদিক শাহ আলমগীরের স্মৃতির সম্মানে ‘শাহ আলমগীর জার্নালিজম এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড’ প্রবর্তন করে ‘ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টার’ (বিজেসি)। 

আবুল মোমেন নিজেকে কবি হিসেবে পরিচয় দিলেও তিনি একজন শিক্ষক, রবীন্দ্র বিশেষজ্ঞ, শিশুসাহিত্যিক, প্রাবন্ধিক ও কলামিস্ট। নিজ মেধার দ্যুতিতে সাংবাদিকতার জগতকে করেছেন আলোকিত। তার হাত ধরে নতুন পত্রিকা বের হয়েছে, তেমনি সাংবাদিকতার মানকে তিনি নিয়ে গেছেন অনন্য উচ্চতায়। 

একুশে প্রদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক আবুল মোমেনের জন্ম ১৯৪৮ সালের ১৮ ডিসেম্বর, চট্টগ্রামে। বিশিষ্ট সাহিত্যিক আবুল ফজলের ছেলে আবুল মোমেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগ থেকে ১৯৭৩ সালে এমএ পাস করেন। স্বাধীনতার পর পরই ‘দৈনিক স্বাধীনতা’ পত্রিকায় কাজ শুরু করেন তিনি। এর পর ‘ডেইলি লাইফ’ ও চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ‘দৈনিক পূর্বকোণে’ সহকারী সম্পাদক হিসেবে কাজ করেন। 

এ ছাড়া তিনি ‘দৈনিক ভোরের কাগজে’ চট্টগ্রামের আবাসিক সম্পাদক এবং চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ‘দৈনিক সুপ্রভাত বাংলাদেশের’ উপদেষ্টা সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন। 

১৯৯৮ থেকে ২০১৩ সালের জুন পর্যন্ত দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকার চট্টগ্রাম ব্যুরোর আবাসিক সম্পাদক হিসেবে কাজ করেন। সফলতার সঙ্গে উপদেষ্টা সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালনের পর বর্তমানে তিনি নতুন ধারার দৈনিক আমাদের সময়ের সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। 

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ প্রতিষ্ঠার পর সেখানে তিনি শিক্ষকতায়ও যুক্ত ছিলেন। 

ষাটের দশক থেকে শিক্ষা আন্দোলন, ছাত্র আন্দোলন, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, মহান মুক্তিযুদ্ধ, সামরিক শাসন ও স্বৈরাচার বিরোধী গণআন্দোলন থেকে শুরু করে আজ অবধি দেশের বিভিন্ন সংকটকালে তিনি সবসময় প্রতিবাদে, আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে আসছেন।

আবুল মোমেন স্বাধীনতার পর থেকে সমকালীন বিভিন্ন বিষয় নিয়ে পত্র-পত্রিকায় লেখালেখি করে আসছেন। শিক্ষা নিয়ে চার দশকের বেশি সময় ধরে কাজ করছেন তিনি। তার লেখা প্রবন্ধের সংখ্যা অর্ধশতাধিক। ২০১৭ সালে সাংবাদিকতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার জন্য একুশে পদকে ভূষিত হন তিনি। 

এ ছাড়া বাংলা একাডেমি পুরস্কার, বাংলা একাডেমি প্রবর্তিত রবীন্দ্র পুরস্কার, অগ্রণী ব্যাংক শিশু সাহিত্য পুরস্কার, শিশু সাহিত্যে চন্দ্রাবতী একাডেমি পুরস্কারসহ অসংখ্য পুরস্কারে ভূষিত হন তিনি। তার কর্মময় জীবনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টার এই গুণী সাংবাদিককে ‘শাহ আলমগীর জার্নালিজম এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান করছে।