বিদ্রোহীদের তোপে আরও ঘাঁটি হারিয়েছে মিয়ানমার
গত চারদিনে সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী পিপলস ডিফেন্স ফোর্স এর আক্রমণে আরও ঘাঁটি হারিয়েছে মিয়ানমার জান্তা বাহিনী। কাচিন, রাখাইন ও রাজ্য এবং সাগাইং ও বাগো অঞ্চলের ঘাঁটিগুলো হারায় বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম ইরাবতী।
সশস্ত্র বিদ্রোহীদের তুমুল প্রতিরোধের মুখে পিছু হটছে মিয়ানমারের জান্তা বাহিনী। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, তিন বছরের ক্ষমতায় এই মুহূর্তে সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি পার করছে তারা। গত অক্টোবরে জাতিগত বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর আক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকে সামরিক টহল চৌকি, অস্ত্রাগার ও বেশ কিছু শহরের নিয়ন্ত্রণ চলে গেছে বিদ্রোহীদের হাতে। সবশেষ ঘুমধুম সীমান্তে বিদ্রোহীদের আক্রমণের মুখে মিয়ানমারের শতাধিক সীমান্তরক্ষী বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিয়েছে, যাদের অনেকেই আহত।
গতকাল বুধবার ইরাবতী নিউজ জানায়, জান্তাবিরোধী দুই সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মি (এএ) এবং কাচিন পিপলস ডিফেন্স ফোর্স (কেপিডিএফ) গত সোমবার কাচিন প্রদেশের মান্দালয়-মিতকিয়ানা সংযোগ সড়কের কাছে সামরিক বাহিনীর একটি কৌশলগত সামরিক ঘাঁটি এবং মানসি শহরের প্রধান সামরিক ঘাঁটিটির দখল নিয়েছে। সেনা বাহিনীর সঙ্গে তিন দিনের যুদ্ধ শেষে এএ-কেডিএফ কাচিন প্রদেশের এ দুই ঘাঁটির দখল নিয়েছে।
আরও পড়ুন:
রোগীর পেটে জীবন্ত মাছি!
৩ দিনের যুদ্ধে মিয়ানমার বাহিনী এই দুই ঘাঁটি লক্ষ্য করে ৬০টিরও বেশি বিমান হামলা চালিয়েছে। এতে ৫ জন নিহত এবং ১৫ জন আহত হয়েছেন।
অন্যদিকে সোমবার বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশের মংডু জেলার পায়ে ইউন তুয়াং গ্রামের একটি সামরিক ঘাঁটির দখল নিয়েছে আরাকান আর্মি।
আরও পড়ুন:
২৫ জিম্মিকে মুক্তি দিল হামাস