রাখাইন ইস্যুতে আমাদের আরও পদক্ষেপ নেওয়া উচিত: ব্যারিস্টার আনিসুল

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে চলা সংঘর্ষের ব্যাপারে বাংলাদেশসহ সংশ্লিষ্ট কয়েকটি রাষ্ট্রের আরও পদক্ষেপ নেওয়া উচিত বলে মনে করেন জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় উপনেতা ও জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। আজ সোমবার জাতীয় সংসদের অধিবেশনে অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, যে পরিস্থিতি এখন মিয়ানমারে আছে এতে আমাদের ও ভারতের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে। এই ব্যাপারে আমাদের আরও পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। বিশেষ করে আন্তর্জাতিক যেসব গোষ্ঠী আছে, যারা এখানে আছেন—ভারত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং চীন এদের সঙ্গে আমার মনে হয় এ বিষয়টা উপস্থাপন করা উচিত।’

তিনি বলেন, ‘রাখাইনরা তাদের যুদ্ধ আমাদের সীমান্তের ওপর ফোকাস করছে। এটার একটা কারণ হলো— যে সীমান্ত চৌকিগুলো আছে, এগুলো বিচ্ছিন্নভাবে আছে, খুব সহজে তারা দখল করতে পারে। আরেকটা জিনিস হচ্ছে যে— তাদের এই যুদ্ধের কারণে বাংলাদেশ যদি ক্ষতিগ্রস্ত হয়, বাংলাদেশ যদি এর সঙ্গে জড়িয়ে যায় সেখানে রাখাইনরা এটার একটা অ্যাডভানটেজ নেওয়ার চেষ্টা করতে পারে।’

আরও পড়ুন:

রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার

বিরোধীদলীয় উপনেতা বলেন, ‘কেবল সেটা না, দুই বছর আগে একটা ভিডিও গণমাধ্যমে এসেছিল। যেখানে কিছু রোহিঙ্গা নারীদের এনে ভিডিওটা নিয়েছে। প্রশ্নটা ছিল আপনারা কি মিয়ানমারের নাকি? তখন নারীরা সঙ্গে সঙ্গে উত্তর দিয়েছে, আমরা মিয়ানমার চিনি না, আমরা এখানে এবং এখানেই থাকব।’

তিনি বলেন, ‘এই জন্য আমি জিনিসটা উপস্থাপন করলাম। কারণ, এখানে অনেক রকম দুরভিসন্ধি আছে। তখনকার কিছু ঘটনায় আমরা দেখেছি, পাকিস্তানি নাগরিকরাও এই মিয়ানমারের রোহিঙ্গারা যারা এসেছে সেই ক্যাম্পে তারা বেশ অ্যাকটিভ ছিল এবং দুই-তিনজন ধরাও পড়েছিল। সুতরাং, আমি মনে করি, বিশেষ করে যেহেতু কক্সবাজার আর মিয়ানমার পাশাপাশি এবং ১২ লাখ আমাদের এখানে রোহিঙ্গা বর্তমানে আছে; যার কারণে সেখানে সন্ত্রাস কিছু হচ্ছে, কিছু জঙ্গিবাদ উত্থান হচ্ছে।’

আরও পড়ুন:

নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?

আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, ‘এগুলো পরবর্তীতে আমাদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করতে পারে বলে অনেকেই মনে করে। যেটা ডোনাল্ড লু তার বক্তব্যে বলেছেন। তাই আমি বলব, বিশেষ করে এখানে চারটি দেশ—ভারত ওতপ্রোতভাবে জড়িত। কারণ, ভারতেরও নিরাপত্তা বিশেষ করে উত্তর-পূর্ব ভারতে এইটার একটা ইমপ্যাক্ট হতে পারে। সুতরাং, ভারত, আমরা, মিয়ানমার, চীন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এদের মধ্যে আমার মনে হয় একটা যৌথ উদ্যোগ নেওয়া উচিত, এই জিনিসগুলো দেখার জন্য।’