দেশে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা পলিসি প্রণয়ন করা হবে: পলক
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, ‘খুব শিগগিরই আমরা এআই (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) পলিসি প্রণয়ন করতে যাচ্ছি। আর তার পরপরই এআই আইন প্রণয়ন করতে চাই। এ ব্যাপারে বাংলাদেশ-ইউনেস্কো একসঙ্গে কাজ করবে।’
আজ সোমবার ইউনেস্কো বাংলাদেশের প্রধান ড. সুজান ভাইজের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন মন্ত্রী।
বৈঠকে ইউনেস্কো আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স (এআই) নিয়ে আইসিটি বিভাগের সঙ্গে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন ড. সুজান ভাইজ।
প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, ‘১৮-২৫ বছর বয়সী ছাত্র-ছাত্রীদের সাংবাদিকতা বিষয়ে প্রশিক্ষণের জন্য এটুআই এবং ইউনেস্কো একসঙ্গে কাজ করবে। শেখ রাসেল ডিজিটাল কম্পিউটার ল্যাবের মাধ্যমে এআই শিক্ষাকে বিভিন্ন বয়সী ছাত্র-ছাত্রীদের সম্মুখে তুলে ধরার জন্য শিক্ষকদের সচেতন হিসেবে গড়ে তোলার ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে। আইসিটি বিভাগ ও ইউনেস্কো একসঙ্গে সচেতনতা এবং প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করবে।’
পলক বলেন বলেন, ‘স্মার্ট লিডারশিপ একাডেমি, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের এজ প্রকল্পের সঙ্গে এআই লিটারেসি এবং এআই সচেতনতা তৈরির জন্য আমরা পলিটিক্যাল লিডারশিপ, ব্যুরোক্রেটিক লিডারশিপ, একাডেমিয়া এবং ইন্ডাস্ট্রি এই চারটি প্রধান স্টেকহোল্ডারের সঙ্গে চারটি সেশন আয়োজন করা হবে। ২০৪১ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্নের স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট অর্থনীতি, স্মার্ট সরকার এবং স্মার্ট সমাজব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য আইসিটি বিভাগ এবং ইউনেস্কো একসঙ্গে কাজ করবে। আমাদের ৫ কোটি ছাত্র-ছাত্রীদেরকে স্মার্ট দক্ষ নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার জন্য এবং সরকারের সেবাগুলোকে পেপারলেস ও প্রযুক্তির আওতায় আনতে আমরা ইউনেস্কোর সঙ্গে কাজ করতে চাই।’
ড. সুজান ভাইজ বলেন, ‘আলোচনাটি খুবই চমৎকার। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে মন্ত্রণালয়ের আগ্রহ দেখে আমি অভিভূত। আমরা সহযোগিতার বেশ কয়েকটি ভালো জায়গা খুঁজে পেয়েছি। এর মধ্য শুরুতেই আছে এআই। এ ছাড়া তরুণদের জন্য এআই শিক্ষা, ডিজিটাল স্বাক্ষরতা ও সাংবাদিকদের সচেতনতা সৃষ্টি ও প্রশিক্ষণ নিয়ে আলাপ হয়েছে। স্মার্ট সিটি, স্মার্ট সিটিজেন ও স্মার্ট লিডার গড়তে বাংলাদেশকে সব ধরণের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত ইউনেস্কো।’
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার