৪৭ বছর ধরে পুকুরে আটকে রাখা ছিল কুমির
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে পুকুর থেকে লোনা পানির একটি কুমিরের উদ্ধার ক বন বিভাগ। গতকাল শনিবার উপজেলার চরহাজারী ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের একটি বাড়ির পুকুর থেকে বন অধিদপ্তরের বন্যপ্রাণী ও অপরাধ দমন ইউনিটের জীববৈচিত্র সংরক্ষণ কর্মকর্তা রথীন্দ্র কুমার বিশ্বাসের নেতৃত্বে ৬ সদস্যের একটি দল কুমিরটি উদ্ধার করে। তখন ওই বাড়ির মালিক স্বেচ্ছায় বন অধিদপ্তরের বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের কাছে কুমিরটি হস্তান্তর করে।
বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র সংরক্ষণ কর্মকর্তা রথীন্দ্র কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘৫০ বছরেরও বেশি বয়সী কুমিরটির ওজন প্রায় ১০০ কেজি। প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিয়ে কুমিরটি চট্টগ্রামের ডুলাহাজরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সাফারি পার্কে অবমুক্ত করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘চরহাজারী গ্রামের মো. খুরশিদ আলম ১৯৭৭ সালে বাগেরহাটের খান জাহান আলীর মাজার থেকে দুটি কুমির এনে নিজ বাড়ির পুকুরে লালন-পালন করেন। এর মধ্যে পুরুষ কুমিরটি ২০ বছর আগে মারা যায়। এরপর থেকে নারী কুমিরটি সঙ্গীহীন অবস্থায় ছিল।’
লোনা পানির কুমিরটি ‘সল্ট ওয়াটার ক্রোকোডাইল’ প্রজাতির জানিয়ে রথীন্দ্র কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘সুন্দরবন এবং দেশের উপকূলীয় এলাকা এ জাতীয় কুমিরের আবাসস্থল। তবে, তারা মিঠা পানিতেও থাকতে পারে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ফেসবুকের সুবাদে কুমিরটির খবর নজরে আসে বন্যপ্রাণী ও অপরাধ দমন ইউনিটের। বিষয়টি যে বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন-২০১২ এর পরিপন্থি তা জানা ছিল না প্রয়াত খুরশিদ আলমের পরিবারের সদস্যদের কারো। খুরশিদ আলম ২০ বছর আগে মারা যান। তার তিন ছেলে কেউই বাড়িতে থাকেন না। আইন জানার পর তারা স্বেচ্ছায় কুমিরটি হস্তান্তর করেতে রাজি হলে গতকাল উপকূলীয় বনবিভাগ নোয়াখালীর সহযোগিতায় বন্যপ্রাণী ও অপরাধ দমন ইউনিটের একটি দল কুমিরটি উদ্ধার করে।’