নোয়াখালীতে ৪৭ বছর ধরে আটকে রাখা কুমির উদ্ধার
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরহাজারী ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড থেকে একটি লোনা পানির কুমির উদ্ধার করা হয়েছে। গত ৪৭ বছর ধরে কুমিরটিকে অবৈধভাবে ওই পুকুরে আটকে রাখা হয়েছিল বলে জানায় বন বিভাগ। অনেকে মানত করে কুমিরটিকে খাবার দিতেন বলেও জানা গেছে।
গতকাল শনিবার দুপুরে বন অধিদপ্তরের বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা রথীন্দ্র কুমার বিশ্বাসের নেতৃত্বে সহকারী বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ কর্মকর্তা কাজী তরিকুল হক, রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. শাখাওয়াত উল্লাহসহ ৬ সদস্যের একটি দল কুমিরটি উদ্ধার করে। মালিক স্বেচ্ছায় বন অধিদপ্তরের বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের নিকট হস্তান্তর করে কুমিরটি। চিকিৎসা শেষে ডুলহাজরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সাফারি পার্কে অবমুক্ত করা হবে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ৪৭ বছর উপজেলার চরহাজারী গ্রামের কুমির ওয়ালা বাড়ির পুকুরে অবৈধভাবে অবরুদ্ধ ছিল লোনা পানির ওই কুমির। কুমিরের নাম অনুসারে বাড়িটি পরিচিতি লাভ করে কুমির ওয়ালা বাড়ি। বছরখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে বিষয়টি নজরে আসে বন্যপ্রাণী ও অপরাধ দমন ইউনিটের। এরপর গতকাল শনিবার দুপুর ২টার দিকে ঘটনাস্থলে অভিযান চালায় বন্যপ্রাণী ও অপরাধ দমন ইউনিট। সেখানে ঘণ্টাব্যাপী অভিযান চালিয়ে কুমিরটি উদ্ধার করে নোয়াখালী উপকূলীয় বন কর্মকর্তার কার্যালয় নিয়ে আসা হয়।
বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র সংরক্ষণ কর্মকর্তা রথীন্দ্র কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘গত বছর ফেসবুকের মাধ্যমে বিষয়টি আমরা অবগত হই। উদ্ধার কুমিরটি প্রায় পঞ্চাশ বছর বয়সী এবং এর ওজন প্রায় ১০০ কেজি। এখান থেকে কুমিরটি চট্টগ্রামের সাফারি পার্কে নিয়ে চিকিৎসা শেষে অবমুক্ত করা হবে।’