এসডিজি অর্জনে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করবে ডিএফএটি-ইউএনডিপি
সামগ্রিক উন্নয়ন কার্যক্রম ত্বরান্বিত করে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কাজ করবে অস্ট্রেলিয়ার ডিপার্টমেন্ট অফ ফরেন অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড ট্রেড (ডিএফএটি) ও জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি)।
এই লক্ষ্যে ১৫ ফেব্রুয়ারি অস্ট্রেলিয়ান দূতাবাসে ‘ইন্সটিটিউশনাল স্ট্রেন্দেনিং ফর প্রোমোটিং একাউন্টেবিলিটি অ্যান্ড ট্রান্সপারেন্সি’ (ইস্পাত) প্রকল্পের আওতায় অস্ট্রেলিয়ার ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার নার্দিয়া সিম্পসন ও ইউএনডিপি বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলার মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষর হয়। চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ইউএনডিপি ও অস্ট্রেলিয়া দূতাবাসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
এই চুক্তির মূল লক্ষ্য হলো-বাংলাদেশ এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর প্রাতিষ্ঠানিক দক্ষতা বৃদ্ধি করা যেন বাংলাদেশের উন্নয়নে বেসরকারি সংস্থা বা এনজিও আরও জোরালো ভূমিকা রাখতে পারে।
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
এই বিষয়ে অস্ট্রেলিয়ার ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার নার্দিয়া সিম্পসন বলেন, ‘এই কাজের মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশ এনজিও বিষয়ক ব্যুরোকে আরও শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে পারব, যা বাংলাদেশে এনজিওর কার্যক্রম বাস্তবায়ন ত্বরান্বিত করবে।’
এই উদ্যোগের তাৎপর্য তুলে ধরতে গিয়ে ইউএনডিপি বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলার বলেন, নতুন এই প্রকল্পটি বাংলাদেশ এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর দক্ষতা বাড়াতে সাহায্য করবে। একই সঙ্গে আরও দ্রুততার সঙ্গে এবং কার্যকরভাবে সেবা প্রদান করা সম্ভব হবে।
আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?
বিগত কয়েক বছরে বাংলাদেশ প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর চাহিদা অনুযায়ী অসংখ্য উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সফলভাবে বাস্তবায়ন হয়েছে। এই কর্মকাণ্ডে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে অসংখ্য এনজিও কাজ করেছে। সেই সংখ্যা গত কয়েক বছরে ৩৯৪ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ২ হাজার ৫৮১ হয়েছে।
এই প্রতিষ্ঠানগুলো বাংলাদেশ এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর মাধ্যমে সারাদেশে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে থাকে। কিন্তু গত কয়েক বছরে এনজিওর সংখ্যা বাড়লেও তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে বৃদ্ধি পায়নি ব্যুরোর জনবল। ফলে দেশের সার্বিক উন্নয়নের গতি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এই ধরনের জটিলতা কমিয়ে আনতে এই প্রকল্প সাহায্য করবে।