জেড ক্যাটাগরিভুক্ত হচ্ছে দুর্বল কোম্পানি

আবু আলী
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
শেয়ার :
জেড ক্যাটাগরিভুক্ত হচ্ছে দুর্বল কোম্পানি

পুঁজিবাজারে স্বচ্ছতা ফেরাতে দুর্বল কোম্পানিগুলোকে জেড ক্যাটাগরিতে পরিবর্তন বা স্থানান্তরের বিষয়ে কড়া নির্দেশনা দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন বা বিএসইসি। নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলো টানা দুই বছর লভ্যাংশ না দিলে জেড ক্যাটাগরিতে স্থান পাবে। এছাড়া নির্ধারিত সময়ে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) করতে ব্যর্থ ও উৎপাদন বন্ধ থাকা কোম্পানিকে জেড ক্যাটাগরিতে পাঠানো হবে। গতকাল পুঁজিবাজারের দুর্বল মৌলভিত্তির কোম্পানিগুলোকে জেড ক্যাটাগরিতে স্থানান্তর বিষয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এমন নির্দেশনা জারি করেছে, যা অবিলম্বে কার্যকর হবে।

স্টক এক্সচেঞ্জের ‘জেড ক্যাটাগরি’ মানে হচ্ছে, যেখানে শেয়ার লেনদেন নিষ্পত্তিতে তুলনামূলক বেশি সময় লাগে। এই শেয়ারগুলো নন-মার্জিন এবং এই ক্যাটাগরির কোম্পানির উদ্যোক্তা-পরিচালকদের শেয়ার বিক্রিতেও নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।

বিএসইসির চেয়ারম্যান ড. শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম স্বাক্ষরিত নির্দেশনায় বলা হয়েছে, এখন থেকে তালিকাভুক্ত কোনো কোম্পানি পর পর দুই বছর লভ্যাংশ দিতে ব্যর্থ হলে ও আইন অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ে এজিএম করতে ব্যর্থ হলে সে কোম্পানিকে জেড ক্যাটাগরিতে পাঠানো হবে। তবে রিট পিটিশন বা আইনি প্রক্রিয়ার ফলশ্রুতিতে এজিএম অনুষ্ঠিত না হলে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে সমন্বয়ের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ দুই বছর বিবেচনা করা যেতে পারে।

নির্দেশনা অনুযায়ী, টানা দুই বছর পরিচালন লোকসান কিংবা ঋণাত্মক নগদ প্রবাহ থাকলে সে কোম্পানিও জেড ক্যাটাগরিতে স্থানান্তরিত হবে। এছাড়া কোনো কোম্পানি ব্যবসা সম্প্রসারণ, আধুনিকায়ন বা পুনর্বাসন (বিএমআরই) ছাড়া টানা ছয় মাস উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ রাখলে সে কোম্পানির শেয়ারও জেড ক্যাটাগরিভুক্ত হবে।

পুঞ্জীভূত (রিটেইন্ড) লোকসান কোম্পানির পরিশোধিত মূলধনের চেয়ে বেশি হলেও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসেবে ওই ক্যাটাগরিতে পাঠানো হবে। সিকিউরিটিজ আইন, বিধি, প্রবিধান, বিজ্ঞপ্তি, আদেশ, নির্দেশাবলী পরিপালনে ব্যর্থতার পাশাপাশি স্টক এক্সচেঞ্জের তালিকাভুক্তির প্রবিধানমালা লঙ্ঘনের কারণেও কমিশনের অনুমোদন সাপেক্ষে যে কোনো কোম্পানিকে জেড ক্যাটাগরিতে রাখা যাবে।

ব্যাংক, বীমা এবং ব্যাংক-বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান ব্যতীত যেকোনো তালিকাভুক্ত কোম্পানি প্রান্তিক নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনের ভিত্তিতে অর্জিত মুনাফা থেকে সময়ে সময়ে শেয়ারহোল্ডারকে কোনো অন্তর্বর্তী লভ্যাংশ (স্টক/বোনাস শেয়ার ব্যতীত) প্রদান করতে পারে, যা পরিচালন পর্ষদের কাছে মুনাফা দ্বারা ন্যায়সঙ্গত বলে মনে হয়। এই ধরনের অন্তর্বর্তী লভ্যাংশ কোম্পানির শ্রেণীকরণের সমন্বয়ের জন্য বিবেচনা করা হবে।

এসইসির অনুমোদন ছাড়া ব্যাংক, বীমা কোম্পানি এবং ব্যাংক-বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান ব্যতীত জেড-শ্রেণিভুক্ত কোম্পানির কোনো উদ্যোক্তা বা পরিচালককে তার শেয়ার স্টক এক্সচেঞ্জের যেকোনো প্ল্যাটফর্মে বা স্টক এক্সচেঞ্জের বাইরে যেকোনো আকারে লেনদেন (ক্রয়/বিক্রয়/স্থানান্তর) করার অনুমতি দেওয়া হবে না।