এসএমই উদ্যোক্তাদের প্রযুক্তি সক্ষমতা বাড়ানোর আহ্বান
স্মার্ট অথনীতি নির্মাণে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) উদ্যোক্তাদের প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি ব্যারিস্টার মো. সামীর সাত্তার। গতকাল শনিবার রাজধানীর মতিঝিলে ঢাকা চেম্বার অডিটরিয়ামে আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এ আহ্বান জানান।
‘স্মার্ট এসএমইদের জন্য তথ্য-প্রযুক্তি’ শীর্ষক সেমিনার আয়োজন করে ডিসিসিআই। এতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব মো. সামসুল আরেফিন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজিবিষয়ক প্রাক্তন মুখ্য সমন্বয়ক মো. আবুল কালাম আজাদ এবং বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কপোরেশনের (বিসিক) চেয়ারম্যান মুহ. মাহবুবর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে ঢাকা চেম্বারের সভাপতি জানান, আমাদের ৯ মিলিয়ন এসএমই উদ্যোক্তা কৃষি, পণ্য উৎপাদনসহ ব্যবসায়ের বিভিন্ন খাতে প্রায় ২৪.৫ মিলিয়ন লোকের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করেছে এবং জিডিপিতে তাদের অবদান প্রায় ২৫ শতাংশ।
অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ধারা বেগবান এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরিতে স্থানীয় এসএমই উদ্যোক্তারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন বলে সেমিনারে জানান ঢাকা চেম্বারের সভাপতি। তিনি বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতিকে ভবিষ্যতে স্মার্ট অর্থনীতিতে রূপান্তরে কার্যকর ভূমিকা পালন করবে দেশের এসএমই উদ্যোক্তাদের প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বাড়ানো, সহায়ক নীতিমালা প্রণয়ন ও প্রয়োজনীয় সংস্কার। এসএমই উদ্যোক্তাদের অর্থায়নের সুযোগ বৃদ্ধি, স্বল্প সুদে পুনঃঅর্থায়ন সহায়তা, টেকনোলজি ট্রান্সফার, কর ও শুল্কবিষয়ক সহায়তা প্রদান, নীতি সহায়তা প্রভৃতি বিষয়ের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন ডিসিসিআই সভাপতি।
আরও পড়ুন:
এগ্রো অর্গানিকার কিউআই আবেদন শুরু কাল থেকে
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব মো. সামসুল আরেফিন বলেন, সরকারি সংস্থাগুলোতে প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি পেলে জনগণের ভোগান্তি ও ব্যয় কমবে এবং সেবার মান বৃদ্ধি পাবে। এসএমই খাতে যথাযথ তথ্য প্রাপ্তির বিষয়টি এ খাতের সম্প্রসারণে কার্যকর সিদ্ধান্ত গ্রহণের একান্ত অপরিহার্য। তিনি বলেন, এসএমই উদ্যোক্তারা আমাদের অর্থনীতি ও জিডিপিতে সবচেয়ে বেশি হারে অবদান রাখছে। তাই তাদের উন্নয়নে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন নিশ্চিত করার বিকল্প নেই।
সেমিনারে বিশেষ অতিথি মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, মাথাপিছু আয়, জ্বালানি সক্ষমতাসহ অন্যান্য সূচকে আমাদের উন্নয়ন হয়েছে। এসব ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি অবদান রেখেছে বেসরকারি খাত।
বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কপোরেশনের (বিসিক) চেয়ারম্যান মুহ. মাহবুবর রহমান বলেন, সারাদেশে আমাদের ৮৫টি কার্যালয় ও প্রায় ১০০ কোটি টাকার পুনঃঅর্থায়ন স্কিম আছে, যেখান থেকে এসএমই উদ্যোক্তাদের ৫ শতাংশ হারে ঋণ সহায়তা দেওয়া হয়। আমাদের এসএমই খাতের উদ্যোক্তাদের দক্ষতা উন্নয়নে বিসিক নানা প্রশিক্ষণ কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে।
আরও পড়ুন:
দক্ষিণ এশিয়ায় সবার নিচে বাংলাদেশ
সেমিনারে মূল প্রবন্ধে জিবিএল ফিনটেক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সাইফুর রহমান বলেন, প্রযুক্তির সীমিত ব্যবহার, আর্থিক সহায়তার সীমাবদ্ধতা এবং দক্ষতার অভাব আমাদের এসএমই খাতের উন্নয়নে অন্যতম প্রতিবন্ধকতা। এই খাতে প্রযুক্তিবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করতে সরকারি-বেসরকারি যৌথ উদ্যোগ গ্রহণের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন তিনি।