বিক্রির চাপে শেয়ারবাজারে দরপতন
দেশের শেয়ারবাজারে গতকাল সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে ঊর্ধ্বগতির মধ্য দিয়ে লেনদেন শুরু হলেও দিন শেষে বিক্রির চাপে দরপতন হয়েছে। অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম কমার পাশাপাশি ডিএসই ও সিএসইর সবকটি মূল্যসূচক কমেছে। লেনদেনের শেষ দেড় ঘণ্টায় হঠাৎ করেই এক শ্রেণির বিনিয়োগকারী শেয়ার বিক্রির চাপ বাড়িয়ে দেন। এতে একের পর এক প্রতিষ্ঠান দাম বাড়ার তালিকা থেকে দাম কমার তালিকায় চলে আসে। ফলে মূল্যসূচকও ঋণাত্মক হয়ে পড়ে। লেনদেনের শেষ আধাঘণ্টায় বিক্রির চাপ আরও বেড়ে যায়। এতে একদিকে দাম কমার তালিকা বড় হয়, অন্যদিকে সবকটি মূল্যসূচক কমে। তবে লেনদেনের পরিমাণ বেড়েছে।
ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ৪ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ২২৯ পয়েন্টে, ডিএসই শরিয়াহ্ আগের দিনের তুলনায় ১ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৩৫১ পয়েন্টে ও বাছাই করা ভালো ৩০টি কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ১ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ১০৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। ডিএসইতে সব খাত মিলে ৫৩টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বেড়েছে, কমেছে ৯৩টির আর ১৮১টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ৫৪৯ কোটি ১০ লাখ, যা আগের দিন ছিল ৩৭০ কোটি ৩৭ লাখ টাকা।
সবচেয়ে বেশি সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যালসের ২৮ কোটি ১৮ টাকা, ইয়াকিন পলিমারের ২২ কোটি ২৫ লাখ ও ফু-ওয়াং সিরামিকের ২১ কোটি ৫০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এ ছাড়া শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- প্যাসেফিক ডেনিমস, খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং, এমারেল্ড অয়েল, ডমিনেস স্টিল বিল্ডিং, ফু-ওয়াং ফুড, অলিম্পিক এক্সসরিজ এবং সি পার্ল বিচ রিসোর্ট।
আরও পড়ুন:
এগ্রো অর্গানিকার কিউআই আবেদন শুরু কাল থেকে
অপরদিকে সিএসইর সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে ৯ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হওয়া ১৬১টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৩৬টির দাম বেড়েছে, কমেছে ৪৪টির এবং ৮১টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ৮ কোটি ১০ লাখ টাকা, যা আগের দিন ছিল ১১ কোটি ৮০ লাখ।
আরও পড়ুন:
দক্ষিণ এশিয়ায় সবার নিচে বাংলাদেশ