মাদ্রাসাশিক্ষককে কুপিয়ে ৫ লাখ টাকা ছিনতাই
ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ের চারবাড়ীয়া কামিল মাদ্রাসাশিক্ষক শরীফকে কুপিয়ে পাঁচ লাখ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে গেছে ছিনতাইকারীরা। গতকাল বুধবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে হোসেনপুর থানার ডিউটি অফিসার সুশান্ত জানান, বর্তমানে শরীফ ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৭ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
শরিফ গফরগাঁও উপজেলার মহির খারুয়া গ্রামের মৃত হাবিবুর রহমানের ছেলে।
জানা যায়, গতকাল বুধবার শরিফের বড় ভাইয়ের ব্যবসায়ীক কাজে তাদের কর্মচারী মাসুদের পরামর্শে মালামাল কিনতে কিশোরগঞ্জের ভৈরব যান। সঙ্গে কর্মচারী মাসুদকেও নিয়ে যান শরীফ। কিন্তু কোনো মালামাল ক্রয় করতে না পেরে রাত ১০টার দিকে তারা ভৈরব থেকে গফরগাঁওয়ের উদ্দেশে পাবলিক বাসে রওনা হন। এরপর কিশোরগঞ্জ জেলখানার মোড়ে বাস থেকে নেমে সিএনজিচালিত অটোরিকশা ভাড়া নিয়ে হোসেনপুরের উদ্দেশে রওনা হন।
কিছুক্ষণ পর মাসুদ সিগারেট পান করতে সিএনজি থামায়, এসময় সিএনজি থামাতে নিষেধ করেন শরিফ। কিন্তু মাসুদ নিষেধ না মেনে সিএনজি থামিয়ে সিগারেট পান করেন। কিছুদূর যাওয়ার পর হোসেনপুর উপজেলার দাপুনিয়া এলাকায় প্রস্রাব করার কথা বলে আবারও সিএনজি থামান মাসুদ। এসময় প্রস্রাব করতে মাসুদ একটু দূরে যান। তখন কিছু বুঝে ওঠার আগেই সিএনজির সামনে বসে থাকা দুইজন শরিফকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে পাঁচ লাখ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায় এবং শরীফকে রাস্তার ওপর ফেলে সিএনজি নিয়ে পালিয়ে যান ছিনতাইকারীরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে স্বজনরা গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে শরীফকে হোসেনপুর মেডিকেলে নিয়ে যান। সেখানে অবস্থার অবনতি দেখে ওইদিন রাত ৩টায় তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেলে ভর্তি করা হয়।
এ বিষয়ে ডিউটি অফিসার সুশান্ত বলেন, ‘এ ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সন্দেহে মাসুদকে আটক করেছে হোসেনপুর থানা পুলিশ। এ বিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’
