দেশে এডিবির সাহায্যপুষ্ট প্রকল্প বাড়ানো উচিত: বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬:৫৬
শেয়ার :
দেশে এডিবির সাহায্যপুষ্ট প্রকল্প বাড়ানো উচিত: বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী

দেশে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবির) সাহায্যপুষ্ট প্রকল্পের সংখ্যা আরও বাড়ানো উচিত বলে মনে করেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। আজ সোমবার সচিবালয়ে এডিবির দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক মহাপরিচালক তাকেও কনিশির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত তিনি এ কথা বলেন। এ সময় তারা পারস্পারিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।

এডিবির মহাপরিচালক এনার্জি ট্রার্নজিসনে বেসরকারি সংস্থার অংশগ্রহণ বাড়ানো, ইলেকট্রিক ভেহিক্যাল, জ্বালানি দক্ষতা ও সোলার ইরিগেশনে রোডম্যাপ বাস্তবায়নে অর্থায়ন, আঞ্চলিক আন্ত:সংযোগ ও প্রকল্পের রেডিনেস নিয়ে আলোচনা করেন।

এডিবির মহাপরিচালককে স্বাগত জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশে এডিবির সাহায্যপুষ্ট প্রকল্পের সংখ্যা আরও বাড়ানো উচিত। পাওয়ার মার্কেট তৈরি করতে এডিবি সাহায্য করতে পারে। যার মাধ্যমে প্রয়োজনমত বিদ্যুৎ ক্রয়-বিক্রয় করা যাবে। শীতকালে নেপাল বা ভুটানে বিদ্যুৎ রপ্তানি করা যেতে পারে। তাছাড়া ভবিষ্যতে আমাদের প্রায় ৯ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির পরিকল্পনা রয়েছে।’

মন্ত্রী আরও বলেন, ‘জ্বালানির প্রকৃত মূল্য নির্ধারণ করার জন্য একজন ভালো পরামর্শক প্রয়োজন। এডিবি এ বিষয়ে সহযোগিতা করতে পারে। আমাদের সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহারের জন্য সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিচ্ছি। সরকারের ভর্তুকি কমাতে বন্ড ইস্যু করতে যাচ্ছে। ১৩ লাখ ডিজেল পাম্প সোলার পাম্পে রূপান্তরিত করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।’  

নসরুল হামিদ বলেন, বলেন, ‘প্রযুক্তির প্রসার ও কমন ডাটা সেন্টার নির্মাণে এডিবির সঙ্গে একযোগে কাজ করতে পারলে ভালো ফল পাওয়া যাবে।’

উল্লেখ্য, বাংলাদেশের বিদ্যুৎখাতে ৭টি প্রকল্পে ২.৫৭ বিলিয়ন ডলার অর্থায়ন করেছে এডিবি। গতবছর ৩৬০ মিলিয়ন ডলার মূল্যমানের ২টি প্রকল্প অনুমোদন করা হয়েছে। জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগে এডিবির অর্থায়নে ৩টি প্রকল্প চলমান এবং ৫টি প্রকল্প প্রস্তাবিত আকারে রয়েছে।

আজকের বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর ইডিমন গিনটিং।