বিধি ভেঙে চলচ্চিত্র পুরস্কার, নিষেধাজ্ঞা পেল বাংলাদেশ
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে নিয়মনীতি অমান্য করে জুরি বোর্ড গঠন ও এক আয়োজকের চলচ্চিত্র পুরস্কার জেতার ঘটনায় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে ফিপ্রেসি (ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব ফিল্ম ক্রিটিকস)।
এবারের উৎসবে জুরি বোর্ড গঠন ও পুরস্কারে অনিয়ম প্রমাণিত হওয়ায় গেল শনিবার এক চিঠির মাধ্যমে বাংলাদেশের ফিপ্রেসি চ্যাপটার আইএফসিএবিকে (ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ক্রিটিকস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ) তিন মাসের জন্য নিষিদ্ধ করেছে চলচ্চিত্র সমালোচকদের আন্তর্জাতিক সংস্থা ফিপ্রেসি। অভ্যন্তরীণ তদন্তে তারা বিধিমালা, আইন ও নিয়মের স্পষ্ট লঙ্ঘন খুঁজে পেয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি ও ফিপ্রেসি বাংলাদেশের সভাপতি মফিদুল হক এবং ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের সভাপতি আহমেদ মুজতবা জামালকে পাঠানো ওই চিঠিতে সংস্থাটির সভাপতি আহমেদ শাওকি জানিয়েছেন, উৎসব আয়োজনে জড়িত এমন একজন পরিচালকের সিনেমা প্রতিযোগিতা বিভাগের জন্য নির্বাচন করা হয়েছে। উৎসব কর্তৃপক্ষের অবশ্যই নিজস্ব লাইনআপ তৈরির পূর্ণ অধিকার রয়েছে, তবে ফিপ্রেসি অ্যাওয়ার্ডের তালিকা থেকে সিনেমাটিকে বাদ দেওয়া উচিত ছিল। এছাড়া জুরি বোর্ডে এমন সদস্য ছিলেন যিনি উৎসব আয়োজনের সঙ্গেও যুক্ত।
আরও পড়ুন:
ওটিটি প্ল্যাটফরম আমার জন্য বেশ লাকি
চিঠিতে এ ধরনের কাজ ভবিষ্যতে হবে না মর্মে বাংলাদেশ বিভাগ ও উৎসব কর্তৃপক্ষকে লিখিত অঙ্গীকারনামা দিতে বলেছে ফ্রিপেসি।
বাংলাদেশ প্যানোরামা বিভাগের তিনজন জুরি সদস্যের একজন ছিলেন মফিদুল হক। যিনি এবারের ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের একজন নির্বাহী সদস্য ও আয়োজক প্রতিষ্ঠান রেইনবো ফিল্ম সোসাইটির উপদেষ্টা।
আরও পড়ুন:
নানাকে নিয়ে পরীর আবেগঘন পোস্ট
ফিপ্রেসির বিধিমালার ১০ নম্বর ধারায় বলা আছে, ‘সংশ্লিষ্ট উৎসবের সঙ্গে যুক্ত কেউ জুরি কমিটিতে থাকতে পারবেন না।’
চিঠি পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে মফিদুল হক বলেন, ‘আয়োজকরা এই ভুলটি করেছে। এ ধরনের ভুল করা কোনোভাবেই উচিত হয়নি। ভবিষ্যতে এমন ভুল যেন না হয়, সে ব্যাপারে আমরা সর্বোচ্চ সচেতন থাকব।’
আরও পড়ুন:
‘এভাবে বিয়ে করা নাকি অর্থহীন’
অন্যদিকে, ২২তম ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে স্বল্পদৈর্ঘ্য বিভাগে ফিপ্রেসি পুরস্কার জিতেছে ‘লায়লা’। এর নির্মাতা বৈশাখী সমাদ্দার ঢাকা চলচ্চিত্র উৎসবের আয়োজক সংস্থা রেইনবো ফিল্ম সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক। পাশাপাশি তিনি ঢাকা চলচ্চিত্র উৎসব আয়োজক কমিটিরও নির্বাহী সদস্য। অর্থাৎ একই সঙ্গে আয়োজক, আবার চলচ্চিত্র প্রতিযোগিতা বিভাগেও তিনি ছিলেন- যা ফিপ্রেসি নীতিমালার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।