দুই মামলায় বিএনপি নেতা আলতাফ-আলালের জামিন
নাশকতার পৃথক দুই মামলায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী এবং দলটি যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলালকে জামিন দিয়েছেন আদালত। তিন মামলায় আলতাফ হোসেন ও চার মামলায় আলালের জামিনের আবেদন করা হয়েছিল।
আজ রবিবার বিকেলে শুনানি শেষে ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সুলতান সোহাগ উদ্দিনের আদালত এ জামিন মঞ্জুর করেন। একইসঙ্গে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার মামলায় আলতাফ হোসেন চৌধুরীর জামিন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। আসামি পক্ষের আইনজীবী তাহেরুল ইসলাম তৌহিদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, আজ রবিবার আলতাফ হোসেন চৌধুরী বিরুদ্ধে রাজধানীর রমনা থানার পৃথক তিন মামলা এবং মোয়াজ্জেম হোসেন আলালের বিরুদ্ধে রমনা থানার তিন ও পল্টন থানার এক মামলায় জামিন আবেদনসহ গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করি। আদালত শুনানি শেষে আজ সকালে তাদের গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন এবং বিকেলে জামিন আবেদনের শুনানি হয়।
মামলা থেকে জানা যায়, গতবছরের ৪ অক্টোবর ভোরে রাজধানীর উত্তরা থেকে আলতাফ হোসেন চৌধুরীকে তুলে নিয়ে যায় র্যাব। পরে র্যাব সদর দপ্তরের আইন ও সংবাদমাধ্যম শাখা থেকে জানানো হয়, প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা, নাশকতা ও সহিংসতা মামলার আসামি হিসেবে টঙ্গী এলাকায় আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরীকে আটক করা হয়। গতবছরের ৫ নভেম্বর আলতাফ হোসেন চৌধুরীর জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন ঢাকার সিএমএম আদালত। এরপর থেকে তিনি কারাগারে আটক রয়েছেন।
অপরদিকে, গতবছরের ৩১ অক্টোবর রাতে রাজধানীর শাহজাহানপুরের এলাকার একটি বাসা থেকে মোয়াজ্জেম হোসেন আলালকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর থেকে তিনি কারাগারে রয়েছে।
আরও পড়ুন:
পাল্টে যেতে পারে আন্দোলনের ধরন
উল্লেখ্য, রাজধানীর গুলশান থানার একটি নাশকতার মামলায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, সাবেক প্রধান এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, মেজর (অব.) মো. হাফিজ উদ্দিন আহমেদ ও মেজর (অব.) মো. হানিফের গত ২৮ ডিসেম্বর ২১ মাস করে কারাদণ্ডের রায় ঘোষণা করেন ঢাকা মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরী।
আরও পড়ুন:
১১ বছরেও বিচারে অগ্রগতি নেই