আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষ, অর্ধশতাধিক ককটেল বিস্ফোরণ
শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার মোক্তারেরচর ইউনিয়নে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, বাড়িঘর ভাঙচুর ও প্রায় অর্ধশতাধিক ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।
আজ শুক্রবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ইউনিয়নের নয়ন মাদবর কান্দি গ্রামে এ সংঘর্ষ চলে। তবে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয় গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে বলে জানিয়েছেন নড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান।
মোক্তারেরচর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য ও সাবেক ইউপি সদস্যের সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মোক্তারেরচর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য মো. কালাম খান ও সাবেক সদস্য ইকবাল সরদারের মধ্যে আধিপত্য ও স্থানীয় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। নয়ন মাদবর কান্দির পার্শ্ববর্তী মৃধাকান্দি গ্রামের দানেশ হত্যাকে কেন্দ্র করে কালাম সরদারসহ অন্যান্যরা দীর্ঘদিন পলাতক থাকলেও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষের লোকজন এলাকায় আসে। এরপর থেকে দুই পক্ষের লোকজন আধিপত্য বিস্তার নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি করে।
শুক্রবার সকালে কালাম মেম্বার গ্রুপের লোকজন ইকবাল সরদারের বাড়িতে ঢুকে ৫ থেকে ৬টি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটালে উভয় পক্ষের লোকজনের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এরপর দুপুর পর্যন্ত উভয়পক্ষ প্রায় ৪০ থেকে ৫০টি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায়। এ ঘটনায় বসতবাড়ির জানালার গ্লাস ক্ষতিগ্রস্ত হলেও কোনো হতাহতের সংবাদ পাওয়া যায়নি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।
মোক্তারেরচর ইউপি সদস্য মো. কালাম খান বলেন, ‘বৃহস্পতিবার রাতে একটি বিয়ে বাড়িতে হামলা করেছে ইকবাল সরদারের লোকজন। পরে আজ (শুক্রবার) সকালেও তার লোকজন এসে আমাদের লোকজনের ওপর হামলা চালিয়েছে। সকলের সঙ্গে পরামর্শ করে মামলার সিদ্ধান্ত নেব।’
সাবেক ইউপি সদস্য ইকবাল সরদার বলেন, ‘আমি গতকাল রাতে বাড়িতে ছিলাম। সকালে তার লোকজনই আমার বাড়িতে হামলা চালিয়েছে। মামলার বিষয়ে অন্যদের সঙ্গে আলাপ করে সিদ্ধান্ত নেব।’
নড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ঘটনা শোনার পর পুলিশ উভয় পক্ষকে ধাওয়া করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। এ ঘটনায় এখনও কোনো মামলা হয়নি।
