বাজারে সিন্ডিকেট ভাঙার প্রক্রিয়া উদ্ভাবন করেছি: কৃষিমন্ত্রী

গাজীপুর প্রতিনিধি
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:৪৫
শেয়ার :
বাজারে সিন্ডিকেট ভাঙার প্রক্রিয়া উদ্ভাবন করেছি: কৃষিমন্ত্রী

বাজারে সিন্ডিকেট বলতে কিছু থাকলে সেটি কীভাবে ধ্বংস করা যায়, সেটির প্রক্রিয়া কি তা উদ্ভাবন করে কাজ শুরু করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুস শহীদ। আজ বৃহস্পতিবার সকালে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) বার্ষিক গবেষণা পর্যালোচনা কর্মশালায় যোগ দিয়ে এ তথ্য জানান কৃষিমন্ত্রী আব্দুস শহীদ।

আব্দুস শহীদ বলেন, ‘বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করছি। হাটবাজারে যারা মজুতদারি করে তাদের অনুরোধ করব তারা যেনো এ হারাম ব্যবসা না করেন। আল্লাহর রসুলও বলেছেন, ‘‘তেজারতি করা কিন্তু হারাম। তেজারতি কেউ করবে না।” আমি তাদেরকে অনুরোধ করি রমজান মাসে যাতে আমরা সুন্দরভাবে সিয়াম সাধনা করতে পারি তার জন্য সহযোগিতা করবেন।’ 

মন্ত্রী উপস্থিত কৃষি সচিবকে ইঙ্গিত করে বলেন, ‘ওনি একজন কৃষিবিদ। ওনারা ঘর চালান, পরিবার চালান। অতএব বুঝতেই পারছেন, পণ্যের দাম বাড়লে ওনাদেরও মাথা গরম থাকে।’ 

তিনি ব্রি নিয়েও কথা বলেন। কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘ব্রি’র বিজ্ঞানীরা আরও বেশি করে গবেষণা করেন। উৎপাদন যাতে আরও বেশি হয়। আমাদের বিজ্ঞানীদের যে মেধা আছে, তারা আরও এগিয়ে যাবেন। আমাদের দেশের অর্থনীতির শতকরা ৮০ ভাগ নির্ভর করে কৃষির ওপর। কৃষিকে সেভাবে সাজিয়ে তুলতে পারলে আমাদের অভাব থাকবে না। দারিদ্র বিমোচন শেষ হয়ে যাবে। যে জাতি এগিয়েছে তারা গবেষণার মাধ্যমেই এগিয়েছে। আমাদের ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। এখানে আমাদের কৃষি বিজ্ঞানীরা গবেষণার কাজ করে যাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রীও গবেষণা কাজে জোর দিতে বলেছেন।’  

মন্ত্রী বলেন, ‘আমি যদিও একজন বিজ্ঞানী নই। আমি নিজেকে চাষী পরিচয় দিয়ে থাকি। তাই চাষাবাদ করলে যে ফল পাওয়া যায় বা উৎপাদন পাওয়া যায়, এটার চেয়ে আনন্দ বেশি কিছু হতে পারে না। আমাদের বিজ্ঞানীরা দিনের পর দিন যে একেকটা ভ্যারাইটি আবিষ্কার করে যাচ্ছে তা থেকে বিশ্বকে বুঝিয়ে দেওয়ার সুযোগ এবং যোগ্যতা হয়েছে যে বাংলাদেশও পারে।’ 

কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের বিজ্ঞানীদের কাছে এখন যে কোনো আবিষ্কার অসম্ভব বলে কিছু নেই। আমিও অনেক কিছু কৃষি বিজ্ঞানীদের কাছ থেকে শিখতেছি। কৃষিমন্ত্রী হলে কি হবে এ ক্ষেত্রে অনেক বিষয় আছে যেগুলো না জানলে অনেক কিছু সিদ্ধান্ত দেওয়া বা পরিকল্পনা গ্রহণ করা খুব কঠিন হয়ে যাবে। বিজ্ঞানীদের আবিষ্কারগুলো গণমাধ্যমে প্রচার করার করতে হবে। এতে বিজ্ঞানী ও কৃষকরা উৎসাহ পাবে এবং কৃষিক্ষেত্রে উৎপাদনে বেশি করে মনোনিবেশ করতে পারবে। 

কৃষিমন্ত্রী পরে ব্রি’র বার্ষিক গবেষণা পর্যালোচনা কর্মশালায় যোগ দেন। মন্ত্রী ব্রি’তে পৌঁছালে ব্রি’র মহাপরিচালক ও অন্যান্য কর্মকর্তারা তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। এ সময় তার সঙ্গে কৃষি সচিব ওয়াহিদা আক্তার, ব্রি’র মহাপরিচালক মো. শাহজাহান কবীর, ইরি’র বাংলাদেশ প্রতিনিধি হুমনাথ ভাণ্ডারী, গাজীপুর জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক দেবাশীষ সরকার, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাসসহ আরও অনেকে।