ইমরানকে জেলে রেখেই পাকিস্তানে নির্বাচন আজ
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পিটিআই নেতা ইমরান খানের অনুপস্থিতিতেই আজ বৃহস্পতিবার দেশটিতে জাতীয় নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শুরু হচ্ছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদে মোট আসন ৩৪২টি। এর মধ্যে ২৭২ আসনে সরাসরি ভোট হয়। ভোট গ্রহণ উপলক্ষে আগের দিন সংশ্লিষ্ট এলাকায় নির্বাচনী সরঞ্জাম পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক অস্থিরতা, ইমরান খানকে সাজা প্রদান, তার দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) নেতাদের আদালতের বারান্দায় ছোটাছুটি ও দলীয় প্রতীক কেড়ে নেওয়া—এমন নানা বিষয় আলোচনায় রয়েছে।
আরও পড়ুন:
রোগীর পেটে জীবন্ত মাছি!
মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলো সমান সুযোগ (লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড) পায়নি।
এবারের নির্বাচনে এগিয়ে আছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) ও বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি)। জমিয়ত উলেমা-ই-ইসলাম ফজলের (জেইউআই-এফ) নির্দিষ্ট ভোটব্যাংক রয়েছে। করাচিতে জামায়াতে ইসলামির জনপ্রিয়তা বেড়েছে বলে জিও নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন:
২৫ জিম্মিকে মুক্তি দিল হামাস
এদিকে নির্বাচন ঘিরে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে পাকিস্তানের কিছু এলাকায়। গতকাল বুধবার পৃথক বোমা ও গ্রেনেড হামলায় অন্তত ২৯ জন নিহত হয়েছেন।
পাকিস্তানে ভারতের সাবেক রাষ্ট্রদূত অজয় বিসারিয়া বার্তা সংস্থা এএনআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, পাকিস্তানের নির্বাচনে কী হবে তা এখনই বলে দেওয়া যায়। সেনা আগে থেকে ঠিক করে রেখেছে কাকে তারা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে চায় এবং সম্ভবত সেই মানুষটি হলেন নওয়াজ শরিফ। তাই আজ যা হবে, তা ইলেকশন না বলে সিলেকশন বা বাছাই করে নেওয়া বলাটাই ভালো।
আরও পড়ুন:
২৫ জিম্মিকে মুক্তি দিল হামাস