ঢাবি অধ্যাপকের বিরুদ্ধে নম্বর কমিয়ে দেওয়ার অভিযোগ

ঢাবি প্রতিবেদক
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
শেয়ার :
ঢাবি অধ্যাপকের বিরুদ্ধে নম্বর কমিয়ে দেওয়ার অভিযোগ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. নাদীর জুনাইদের বিরুদ্ধে একই বিভাগের স্নাতকোত্তর চূড়ান্ত পরীক্ষার ফলাফলে উদ্দেশ্যমূলকভাবে সমন্বিত কোর্স (লিখিত ও মৌখিক) পরীক্ষায় কম নম্বর দেওয়ার অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীরা। এ বিষয়ে গতকাল উপাচার্যের কাছে বিভাগের ১২তম ব্যাচের ২৮ জন শিক্ষার্থী অভিযোগপত্র দিয়েছেন। অভিযোগের পাশাপাশি শিক্ষার্থীরা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে স্বতন্ত্র ও নিরপেক্ষ কমিটি গঠন করে মৌখিক পরীক্ষা পুনঃগ্রহণ ও সম্পূর্ণ ফলাফল পুনর্মূল্যায়ন এবং অধ্যাপক জুনাইদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করা হয়।

জানা যায়, গত বছরের নভেম্বরে ওই ব্যাচের চূড়ান্ত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। স্নাতকোত্তরের দ্বিতীয় সেমিস্টারের কোর্সের সমন্বয়ক ছিলেন অধ্যাপক জুনাইদ। পরীক্ষা কমিটির চেয়ারম্যান ও সমন্বিত কোর্সের প্রথম পরীক্ষকও ছিলেন তিনি। ওই কোর্সের মৌখিক পরীক্ষা বোর্ডেও ছিলেন তিনি। গত ৬ ফেব্রুয়ারি সেই পরীক্ষার ফলাফল দেওয়া হয়। সেখানে স্নাতক পর্যায়ে ফলাফলে প্রথম দশজনের মধ্যে স্নাতকোত্তরে ভর্তি হওয়া ৬ জনের মাত্র একজন সমন্বিত কোর্সে ২.৭৫ পেয়েছেন। অন্যরা ২.৫০-এরও নিচে পেয়েছেন। সমন্বিত কোর্সে এমন ফলাফল বিপর্যয় এর আগে কখনো দেখা যায়নি। ভাইভাতে অপ্রাসঙ্গিক প্রশ্ন করে পরীক্ষার্থীদের ভীতসন্ত্রস্ত করে ফেলেন তিনি। ফলে তাৎক্ষণিকভাবে জানা প্রশ্নের উত্তরও ভুল হয়ে যাচ্ছিল।

শিক্ষার্থী শাফাত রহমানকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, ইন্দিরা গান্ধীর সন্তান কতজন? আরেক জনকে জিজ্ঞেস করেন, কুকুরের কয়েকটি জাতের নাম বল। এ ধরনের অপ্রাসঙ্গিক প্রশ্ন করে তিনি অন্য পরীক্ষকদের সামনেও শিক্ষার্থীর ‘ইম্প্রেশন’ খারাপ করে দেন। এরই প্রতিফলন ঘটেছে সমন্বিত কোর্সের নম্বরে।

এ বিষয়ে অধ্যাপক জুনাইদ বলেন, ভাইভাতে এমন কোনো প্রশ্ন করা হয়নি। ক্লাসে কোনো এক সময় পড়াতে গিয়ে কুকুরের জাত প্রসঙ্গে বলা হয়েছিল। অভিযোগপত্রে তার বিরুদ্ধে ফেসবুকে নজরদারি ও ফেসবুকের কার্যক্রম অনুসরণ করে মূল্যায়নের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এ বিষয়ে তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের ক্লাসে শুধু বলেছি, তোমরা ফেসবুকে সময় ব্যয় করতে পার। তা হলে ভালো ভালো ছবি কেন দেখো না। ফলাফল কমিয়ে দেওয়ার বিষয়ে জুনাইদ বলেন, ভাইভাতে আরও তিনজন ছিলেন। তারাও এখানে নম্বর দিয়েছেন। আমি একা নম্বর দিইনি। সবার নম্বর গড় হয়ে তারপর মোট নম্বর হয়।

উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক সীতেশ চন্দ্র বাছার বলেন, শিক্ষার্থীদের অভিযোগ খতিয়ে দেখছি। অভিযুক্ত শিক্ষকসহ এ পরীক্ষার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে ডাকব। বিষয়টি পর্যালোচনা করে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উপার্চায অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামাল বলেন, বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিচ্ছি। উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) বিষয়টি দেখবেন।