মা-মেয়েকে দলবদ্ধ ধর্ষণ /
আ. লীগ নেতা বহিষ্কার
নোয়াখালীর সুবর্ণচরে সিঁধ কেটে মা-মেয়েকে দলবেঁধে ধর্ষণের মামলায় গ্রেপ্তার প্রধান আসামি চরওয়াপদা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল খায়ের ওরফে মুন্সি মেম্বারকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বহিষ্কারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হানিফ চৌধুরী।
তিনি জানান, মঙ্গলবার এক জরুরি সভা ডেকে সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়, চরওয়াপদা ইউনিয়ন আওয়ামী আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল খায়ের মুন্সি মেম্বার মামলা থেকে নির্দোষ প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত দলীয় পদ এবং দলের সব কর্মকাণ্ড থেকে তাকে বহিষ্কার করা হলো।
বহিষ্কারকৃত আবুল খায়ের ওরফে মুন্সি মেম্বার (৫০) উপজেলার চরওয়াপদা ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের চরকাজী মোখলেছ গ্রামের বাসিন্দা। তিনি চরওয়াপদা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদ্য সাবেক সভাপতি।
প্রসঙ্গত, উপজেলার চরওয়াপদা ইউনিয়নের চর কাজী মোখলেছ গ্রামের একটি বাড়িতে সোমবার দিবাগত রাত ২টা থেকে ৩টার মধ্যে বসতঘরের সিঁধ কেটে মা-মেয়েকে দলবদ্ধ ধর্ষণ করার ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনার মূলহোতা মামলার প্রধান আসামি আবুল খায়ের ওরফে মুন্সি মেম্বারকে তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় দুজনের নাম উল্লেখ করে নারী ও শিশু নির্যাতন ধমন আইনে মামলা নেওয়া হয়েছে। ওই মামলায় আরও একজনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। গৃহবধূ ও তার মেয়ের ডাক্তারি পরীক্ষা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে সম্পন্ন হয়েছে।
নোয়াখালীর পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আসামিদের চুরি করা উদ্দেশ্য ছিল না। ধর্ষণ করাই তাদের মূল উদ্দেশ্য ছিল। পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে। অপর আসামি হারুন এখনো পলাতক রয়েছে।