সশস্ত্র বাহিনী ও বিজিবিকে ধৈর্য ধরার নির্দেশ

অনলাইন ডেস্ক
০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২০:৩৪
শেয়ার :
সশস্ত্র বাহিনী ও বিজিবিকে ধৈর্য ধরার নির্দেশ

মিয়ানমারে চলমান সংঘাত নিয়ে বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশকে (বিজিবি) ধৈর্য ধরার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আজ সোমবার জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ মজিবুল হক চুন্নুর এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এ কথা জানান। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের অনুপস্থিতিতে তার পক্ষে মিয়ানমারের যুদ্ধ পরিস্থিতিতে সীমান্তের এপারে সরকারের পদক্ষেপ ও প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার বিষয়টি সংসদকে অবহিত করেন আইনমন্ত্রী।

জাতীয় পার্টির মহাসচিব মজিবুল হক চুন্নু সম্পূরক প্রশ্নে বলেন, ‘আমাদের প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারে অভ্যন্তরীণ বিচ্ছিন্নতাবাদী সরকারি বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহী বাহিনীর অনেকটা যুদ্ধের মতো চলছে। যে কারণে সেখান থেকে সাধারণ মানুষ বাংলাদেশে অনুপ্রেবেশের চেষ্টা করছে। গোলাগুলি হচ্ছে। সেই গোলা এসে বাংলাদেশে পড়ছে। মানুষ নিরাপত্তাহীনতা ভুগছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বোধহয় বন্ধ হয়ে গেছে। এ অবস্থায় জানতে চাই, আমাদের বর্ডার এবং স্থানীয় মানুষগুলোর নিরাপত্তার প্রশ্নে সরকারের পক্ষ থেকে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।’

জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘মিয়ানমারের সাথে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে একটা আলোচনার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আমরা সে আলোচনা করার জন্য তাদেরকে ফেরত পাঠানো বা ফেরত যদি পাঠানো না যায় অন্যান্য ব্যবস্থা কী করা যায় সেটাও হবে।’

আনিসুল হক বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী যেটা নির্দেশ দিয়েছেন, সেটা হচ্ছে—আমাদের যে সশস্ত্রবাহিনী বা প্যারা মিলিটারি বাহিনী, সীমান্তরক্ষী বাহিনী তাদেরকে ধৈর্য ধারণ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বর্ডারে স্কুল বন্ধ করার ব্যবস্থা করা হয়েছে।’

বাংলাদেশে দুজন নিহতের বিষয়টি জানিয়ে আইনমন্ত্রী আরও বলেন, ‘মর্টারশেলে আমাদের একজন ও ওদের একজন মারা গেছে—এটাও সঠিক। এ পরিস্থিতি বাংলাদেশ খুব নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং এটার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’