আত্মসমালোচনার মাধ্যমে নিজেদের ঠিক করতে চাই: মেয়র আতিক
ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশার বিরুদ্ধে এক পা পেছানো হবে না বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। আজ সোমবার ডিএনসিসি নগর ভবনে ‘ডেঙ্গু মোকাবিলায় বছরব্যাপী প্রস্তুতি ও করণীয়’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মেয়র বলেন, ‘আর ব্লেইম গেইম না, আত্মসমালোচনার মাধ্যমে নিজেদের ঠিক করতে চাই। চাঁদরাতে লাফালাফি করে লাভ নেই। লাফালাফি এখন থেকেই করতে হবে। তাই ফেব্রুয়ারির শেষ থেকে ওয়ার্ড ভিত্তিক কর্মসূচি শুরু হয়ে যাবে। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে যা যা করার করব।’
অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ, সিডিসি সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. বেনজির আহমেদ ও কীটতত্ত্ববিদ অধ্যাপক কবিরুল বাশারসহ আরও অনেকে।
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
বিশেষজ্ঞদের উদ্দেশে মেয়র বলেন, ‘আপনারা আমাদের একটা কারিগরি কমিটি করে দেন। যেনো আমাদের কাজের মনিটরিং এবং মূল্যায়ন করতে পারি। জনসম্পৃক্ততা আরও কীভাবে বাড়ানো যায় সে বিষয়ে মতামত দিন। ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ থেকে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ক্যাম্পেইন করব।’
এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে ডিএনসিসির পরিকল্পনা তুলে ধরে মেয়র বলেন, ‘নতুন কিছু যন্ত্র আনার পরিকল্পনা করছি। বাফেলো টারবাইন নামে একটি যন্ত্র রয়েছে যেটার মাধ্যমে স্প্রে করলে পরিমিত ড্রফলেট সঠিক জায়গায় ফেলা সম্ভব। ডিএনসিসি এলাকায় হটস্পট চিহ্নিত করার জন্য নিজস্ব টিম করতে বিশেষজ্ঞদের সহযোগিতা দরকার।’
আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?
তিনি বলেন, ‘আর ব্লেইম গেইম না। জবদিহিতার কাঠগড়ায় দাঁড়াতে চাই। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে চেষ্টার কোনো ত্রুটি থাকবে না। তবে শুধু আমরা কাজ করলে হবে না। যার যার জায়গা থেকে নিজস্ব এলাকা পরিষ্কার করতে হবে। ঢাকা শহরের প্রতিটি ছাঁদে ওঠা আমাদের জন্য অসম্ভব। সে জন্য ড্রোনের মাধ্যমে প্রত্যেকটা ছাঁদের বাগানের অবস্থা সম্পর্কে ডাটা তৈরি করেছি।’
এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে বিটিআই আমদানি নিয়ে ওঠা প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, ‘বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে বিটিআই প্রয়োগ করা হয়। এ জন্য ৫ টন বিটিআই এনেছিলাম। কিন্তু যে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে আনা হয় সেই প্রতিষ্ঠান বিটিআই উৎপাদনকারী দেশ সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য দিয়েছে। তবে তাদের বিটিআইয়ের মান নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই। ৭০ লাখ টাকার দিয়ে ৫ টন বিটিআই এনেছিলাম। তবে মিথ্যা তথ্য দেওয়ায় একটি টাকাও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে দেওয়া হয়নি। বরং তাদের জামানত বাজেয়াপ্ত এবং প্রতিষ্ঠানকে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। নতুন করে বিটিআই আনা হবে। এবার ডিএনসিসি সরাসরি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান থেকে আনবে। আগামী ১২-১৪ ফেব্রুয়ারি কীটনাশক আমদানির অনুমোদনকারী প্ল্যান প্রোটেকশনের সঙ্গে সভা হবে। তারা অনুমোদন দিলেই বিটিআইয়ের সব ধরণের কীটনাশক আমদানি করা হবে। সেখানে পাউডার, ট্যাবলেট ও লিকুইড সবই থাকবে।’