মেট্রোরেল বন্ধের ঘটনায় তদন্ত কমিটি
ওভারহেড ক্যাটেনারি সিস্টেমে (ট্রেন চলাচলের ওপরের বৈদ্যুতিক লাইন) বিদ্যুৎ সরবরাহ কমে যাওয়ায় দেড় ঘণ্টা বন্ধ ছিল মেট্রোরেল। আজ রবিবার বেলা পৌনে ৩টার দিকে মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। মেরামত শেষে বিকেল ৪টা ১০ মিনিটে ফের মেট্রোরেল চলাচল শুরু হয়।
হঠাৎ করে লাইনে বিদ্যুৎ সরবরাহ কমে মেট্রোরেল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে মেট্রোরেল পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমএএন ছিদ্দিক বলেন, ‘আজ মেট্রোরেল চলাচল বন্ধের বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটিকে আগামী সাত দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। আজকের ঘটনা ঘটেছে মিরপুর-১১ নম্বর স্টেশনে। এটা ইন্টার্নাল না কি এক্সটার্নাল তা তদন্তে জানাতে বলা হয়েছে।’
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
এ ব্যাপারে এমআরটি লাইন-৬ এর দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা বলেন, ‘ওভারহেড ক্যাটেনারি সিস্টেমে ভোল্টেজ আপ-ডাউন করে। রেগুলার ১৫০০ ভোল্ট প্রয়োজন হয় ট্রেন চালানোর জন্য। কিন্তু এখন দেখা গেছে— জিরো ভোল্ট হয়ে গেছে। এটা শুধু পল্লবী সেকশনেই। কারণ, সেকশনগুলো পার্টিশন করা। অর্থাৎ পল্লবীর আগে ও পরের সেকশনে ১৫০০ ভোল্টই আছে। শুধু পল্লবী সেকশনের দুটি লাইনেই জিরো হয়ে আছে। যার ফলে ট্রেন লাইনে থাকলেও এই অংশটা ক্রস করে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।’
এদিকে, টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব শেষ হওয়ায় আজ সকাল থেকেই মেট্রোরেলে যাত্রীদের প্রচণ্ড চাপ ছিল। এর মধ্যে বেলা পৌনে ৩টার দিকে ট্রেনগুলো হঠাৎ যাত্রাপথেই থমকে দাঁড়ায়। পরে জানা যায়, বৈদ্যুতিক লাইনে সমস্যা থেকে এ জটিলতা। এই সময়ে উত্তরা থেকে মতিঝিল ও মতিঝিল থেকে উত্তরা স্টেশন থেকে ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। ট্রেন বন্ধ থাকায় স্টেশনে স্টেশনে ভিড় বাড়তে থাকে। এক পর্যায়ে বিভিন্ন স্টেশনের গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়। অনেকে টিকেট কিনেও যাত্রা বাতিল করেন।
আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?
অন্যদিকে, যাত্রীরা প্ল্যাটফর্মে এক ঘণ্টার বেশি সময় অবস্থান করার কারণে জরিমানার আশঙ্কায় ছিলেন। তবে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ এমআরটি এবং র্যাপিড পাসধারীদের বিনা চার্জে ও জরিমানা ছাড়াই বের হওয়ার সুযোগ করে দেন। আর যারা একক যাত্রার টিকিট কেটেছিলেন, তাদের টাকা ফেরত দিয়ে দেয়।