অনৈসলামিক বিয়ের দায়ে ইমরান ও তার স্ত্রীকে ৭ বছরের কারাদণ্ড

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২১:১০
শেয়ার :
অনৈসলামিক বিয়ের দায়ে ইমরান ও তার স্ত্রীকে ৭ বছরের কারাদণ্ড

অনৈসলামিক বিয়ের অভিযোগে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী, তেহরিক-ই-ইনসাফের প্রধান ইমরান খান ও তার স্ত্রী বুশরা বিবিকে সাত বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশটির একটি বিচারিক আদালত। আজ শনিবার আদিয়ালা কারাগারের ভেতর স্থাপিত আদালত এ দণ্ড দেন।

পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও নিউজের খবরে বলা হয়, আজ এই রায় ঘোষণা করেন জ্যেষ্ঠ বিচারক কুদরতউল্লাহ। ইমরান-বুশরাকে সাত বছরের কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাদের প্রত্যেককে পাঁচ লাখ রুপি করে জরিমানা করা হয়েছে। রায় ঘোষণার সময় তারা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

গতকাল শুক্রবার আদিয়ালণা কারাগারের ভেতরে স্থাপিত আদালতে এই মামলার শুনানি হয়। এরপর শনিবার রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন আদালত।

মামলায় মোট চারজনের স্বাক্ষ্য নেওয়া হয়। এ ছাড়া দণ্ডবিধির ৩৪২ ধারায় নিজেদের বক্তব্য প্রদান করেন ইমরান ও বুশরা।

মামলার বাদী বুশরা বিবির সাবেক স্বামী খাওয়ার মানেকা। তার দাবি, ইমরানকে অনৈসলামিক উপায়ে বিয়ে করেছেন বুশরা। কারণ তার সঙ্গে যখন বুশরার বিচ্ছেদ হয়,  তখন আল্লাহর বিধান অনুযায়ী, অন্তত তিন মাস পর আরেকজনকে তিনি বিয়ে করতে পারতেন। কিন্তু আল্লাহর বিধান না মেনে ইদ্দত চলার সময় তিনি ইমরানকে বিয়ে করেন।  

খাওয়ার মানেকা আরও অভিযোগ করেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান তার পুরো জীবনকে ধ্বংস করেছেন শুধুমাত্র নিজের অবৈধ ও অনৈতিক লক্ষ্য অর্জনের জন্য।

অপর এক মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত হয়ে নিজ বাড়িতে বন্দী আছেন বুশরা বিবি। আজ তাকে বাড়ি থেকে আদিয়ালা কারাগারে নেওয়া হয়। এ কারাগারেই ইমরান আটক আছেন।  অনৈসলামিক বিয়ের বিরুদ্ধে রায় দেওয়ার সময় তাদের আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, গত বুধবার তোশাখানা মামলায় ইমরান খান ও তার স্ত্রী বুশরা বিবির ১৪ বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। প্রধানমন্ত্রী পদে থাকাকালে ইমরান খান অনেক উপহার পেয়েছিলেন। সেগুলো তোষাখানায় জমা না দিয়ে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে ইমরানের বিরুদ্ধে।

তার আগের দিন, গত মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা আইনে করা মামলায় (সাইফার) ইমরান খান ও পাকিস্তানের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশির ১০ বছরের কারাদণ্ড হয়েছে। মঙ্গলবার এই রায় দেন দেশটির এক বিশেষ আদালত।