আইভীর সঙ্গে একমত সেলিম ওসমান ও শামীম ওসমান

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২০:৫১
শেয়ার :
আইভীর সঙ্গে একমত সেলিম ওসমান ও শামীম ওসমান

নারায়ণগঞ্জের নানা সমস্যা সমাধানে সিটি করপোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াত আইভীর সঙ্গে এক টেবিলে বসেছেন সংসদ সদস্য (এমপি)  সেলিম ওসমান ও শামীম ওসমান।

জনপ্রতিনিধিদের এক টেবিলে এনে নগরীর বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরে, তা সমাধানের জন্য গোল টেবিল বৈঠকের আয়োজন করে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাব। বৈঠকে জনপ্রতিনিধিরা নারায়ণগঞ্জের চলমান সমস্যা সমাধনে একমত হন।

আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এই গোল টেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। প্রেসক্লাব সভাপতি আরিফুল আলম দিপুর সভাপতিত্বে বৈঠকে নারায়ণগঞ্জের যানজট, ফুটপাত দখল ও সড়কের অব্যবস্থাপনাসহ নাগরিক বিভিন্ন সমস্যা উঠে আসে।

নাগরিক সমস্যার সমাধানে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম সেলিম, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমান, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াত আইভী, পুলিশ সুপার (দায়িত্বপ্রাপ্ত) আমির খসরু, জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ মাহমুদুল হক, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান চন্দনশীলসহ ব্যবসায়ীক ও রাজনৈতিক নেতারা।

বৈঠকের শুরুতে প্রেসক্লাব সভাপতি আরিফ আলম দিপু বলেন, ‘আজ কেউ কারও বিরুদ্ধে কথা বলব না। আমাদের নগরীর প্রধান দুই সমস্যা নিয়ে কথা বলব। সমস্যা ফাইন্ড আউট করে সেগুলো সমাধান করব।’

মেয়র সেলিনা হায়াত আইভী বলেন, ‘আজকে আমার বড় দুই ভাই আছেন। আপনারা প্রতিশ্রুতি দেন শহরে ফুটপাতে একজনও হকার থাকতে পারবে না। আপনারা আমাকে সুনির্দিষ্টভাবে বলেন কী করতে হবে, সেটাই করব। নারায়ণগঞ্জের সমস্যা সমাধানে আমরা আজ এখানে বসেছি। এই নগরীকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও আগের মতো করে গড়ে তুলতে আমার যেখানে যাওয়ার দরকার সেখানেই যাব আপনাদের সাথে।’

এমপি সেলিম ওসমান বলেন, ‘আমাদের নারায়ণগঞ্জের সমস্যা অনেক। আমরা কেউ চাই না সাধারণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হোক। কিন্তু একজনের জন্য হাজারো মানুষের সমস্যা হবে সেটা হতে দেব না। অবৈধ কোনো পরিবহন চলবে না। সেটা মেয়রের গাড়ি হলেও চলবে না। চোখের পর্দা উল্টাতে হবে। গত দশ বছরের চেষ্টায় আজকে সফল হয়েছি। আজকে সবাই একসাথে বসেছি।’

এমপি শামীম ওসমান বলেন, ‘আজকে বসেছি দুটো সমস্যা নিয়ে। এই দুইটা বড় প্রবলেম। এরচেয়ে বড় প্রবলেম আছে, যেটা নিয়ে মাঠে নেমেছি। ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ পুরাতন সড়কটি ১২০ ফুট চওড়া আরসিসি ঢালাই হবে, পুরোটা আমি নির্দিষ্ট কোনো গাড়ির কথা বলব না। বিআরটিএ -এর পার্মিশন ছাড়া এখানে গাড়ি চলবে কেনো। যদি চলে সেটা রক্ষক হয়ে ভক্ষন করা। আমি শীতল বাসের মালিক হওয়া সত্তেও একটা জায়গা ভাড়া করে সেখানে গাড়ি রাখছি। আইভীর সাথে আলাপ করেছি এবং একমত হয়েছি—বিআরটিএর পার্মিশন ছাড়া কোনো গাড়ি চলতে দেব না।’

জেলা প্রশাসক মাহমুদুল বলেন, ‘আমি যোগ দেওয়ার দুই মাসের মধ্যেই বিআরটিএর সাথে মিটিং করেছিলাম। সেখানে আমি অনুমোদিত গাড়ির সংখ্যা জানতে চেয়েছিলাম। আমি এ পর্যন্ত সাড়ে ৪০০ গাড়িকে জরিমানা করেছি। আগামীকাল থেকে অনুমোদন ছাড়া কোনো গাড়ি চলবে না। যদি চলে তাহলে সরাসরি ডাম্পিংয়ে চলে যাবে। শহরে অবৈধ স্ট্যান্ড থাকতে দেব না। কাল থেকেই মোবাইল কোর্ট চলবে।’