বিজিবি সদস্য হত্যার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছে ভারত

কূটনৈতিক প্রতিবেদক
০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:০১
শেয়ার :
বিজিবি সদস্য হত্যার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছে ভারত

সম্প্রতি যশোর সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্য রইশুদ্দীনের নিহতের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছে ভারত। আজ বুধবার নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলী সাবরীন। 

এ সময় সেহেলি সাবরীন বলেন, গত ২৪ জানুয়ারি সীমান্তে বিজিবির সিপাহি রইশুদ্দীনের নিহত হওয়ার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছে বিএসএফ। ভবিষ্যতে যেন এ ধরনের ঘটনা না ঘটে সে লক্ষ্যে এক যোগে কাজ করবে বিজিবি-বিএসএফ।

তিনি বলেন, লিবিয়াতে আটক আরও ১৩৯ জন বাংলাদেশি নাগরিকদের বাংলাদেশে প্রত্যাবাসন করা হয়েছে। 

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, মিয়ানমারের রাখাইনের চলমান সংঘাত তাদের আভ্যন্তরীণ বিষয়। এতে যেন বাংলাদেশে কোনো প্রভাব না পড়ে সেদিকে নজর রাখা হয়েছে।

পুলিশ সদস্য হত্যা মামলার আসামি পলাতক আরাভ খানকে দুবাই থেকে দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে অগ্রগতি কী, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘তার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারি আছে এবং প্রত্যাবাসনের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন আছে। তাকে আনার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় কাজ করছে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে কোনো তথ্য এলে আমরা জানাতে পারব। আমাদের কাছে এখন পর্যন্ত তথ্য আছে, রেড নোটিশ জারি করা হয়েছে এবং প্রত্যাবাসনের প্রক্রিয়া চলমান আছে।’ 

এর আগে গত ২২ জানুয়ারি বিজিবির যশোর ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আহমেদ জামিল চৌধুরী এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, ২২ জানুয়ারি আনুমানিক ভোর সাড়ে ৫টার দিকে বিজিবি ধান্যখোলা বিওপির জেলেপাড়া পোস্ট সংলগ্ন এলাকায় ভারত থেকে আসা একদল গরু চোরাকারবারিদের সীমান্ত অতিক্রম করে আসতে দেখে। পরে দায়িত্বরত বিজিবি টহলদল তাদের চ্যালেঞ্জ করলে তারা দৌড়ে ভারতের দিকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।

তিনি বলেন, এ সময় বিজিবি টহল দলের সদস্য সিপাহি মোহাম্মদ রইশুদ্দীন চোরাকারবারিদের পেছনে ধাওয়া করতে করতে ঘন কুয়াশার কারণে দলবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন। প্রাথমিকভাবে তাকে খুঁজে পাওয়া না গেলেও পরে বিভিন্ন মাধ্যমে জানা যায়, তিনি বিএসএফের গুলিতে আহত হয়ে ভারতের অভ্যন্তরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঘটনার পরপরই এ বিষয়ে ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক করা হয় এবং জানা যায়, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সৈনিক মোহাম্মদ রইশুদ্দীন মারা গেছেন।

উল্লেখ্য, দুদিন পর গত ২৪ জানুয়ারি রইশুদ্দীনের মরদেহ ফেরত দেয় বিএসএফ। ওই দিন রাতেই চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার মনাকষা ইউনিয়নের শ্যামপুর গ্রামে নিজ বাড়িদে তার জানাজা হয়। পরে শ্যামপুর-ভবানীপুর গোরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়।