৫১ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠাল ইউরোপের তিন দেশ
সম্প্রতি ইউরোপের তিন দেশ থেকে ৫১ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। গত শুক্রবার সকালে একটি বিশেষ ফ্লাইটে তারা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান। ফেরত আসা নাগরিকদের মধ্যে ফ্রান্স থেকে ২১ জন, সাইপ্রাস থেকে ১৬ জন এবং গ্রিস থেকে ১৪ জন রয়েছেন।
ফ্রান্সের ২১ জনের মধ্যে কয়েক জনের ইউরোপের বৈধ কাগজপত্র ছিল। তারপরও তাদের জোর করে ফেরত পাঠানো হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
ফ্রান্স থেকে দেশে ফেরত আসা বেশ কয়েকজন ভুক্তভোগী অভিযোগ করেন, ফ্রান্সে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের অসহযোগিতার কারণেই তাদের এই পরিণতি ভোগ করতে হয়েছে।
এ নিয়ে ফ্রান্সের বাংলাদেশি কমিউনিটিতে চলেছে নানা আলোচনা সমালোচনা। কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব ও অভিবাসন অভিজ্ঞরা বলেন, ফ্রান্সে কাগজবিহীন বাংলাদেশিদের ফেরত পাঠানো হয় খুবই কমই। সাধারণত বড় কোনো অপরাধ না করলে দেশে পাঠানো হয় না। আগে কোনো অবৈধ বাংলাদেশিকে পুলিশ গ্রেপ্তার করলে প্যারিসের বাংলাদেশ দূতাবাসে নিয়ে আউট পাস চাওয়া হতো। তখন দূতাবাসের পক্ষ থেকে তদন্তের কথা বলে সময় চাওয়া হতো। এ সময় বিভিন্ন উপায়ে আইনজীবীর মাধ্যমে তাকে ছাড়ানো হতো। তবে বর্তমানে ডিটেনশন সেন্টারে গিয়ে বাংলাদেশিদের লিস্ট করে আউট পাস দিয়ে দেশে ফেরত পাঠাতে সহযোগিতা করছে বাংলাদেশ দূতাবাস।
এ ব্যাপারে ফ্রান্স আওয়ামী লীগের প্রধান উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা নাজিম উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘যথাসম্ভব দূতাবাসের উচিত ছিল প্রবাসীদের সহায়তা করা। যত বেশি প্রবাসী দেশে ফেরত যাবে, তত আমাদের রেমিট্যান্সে একটা প্রভাব পড়বে।’
কমিউনিটি নেতা সালেহ আহমদ চৌধুরী বলেন, ‘দেশের চরম সংকটকালে প্রবাসীরা রেমিট্যান্স পাঠিয়ে সরকারের পাশে থাকে। প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সই বাংলাদেশের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি। বর্তমানে উল্লেখযোগ্য হারে কমছে রেমিট্যান্স প্রবাহ। বৈধপথে প্রবাসী আয় বাড়াতে সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংক বেশকিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। বিভিন্ন দেশের দূতাবাস রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ানো নিয়ে সভা সেমিনার ও প্রবাসীদের সঙ্গে মতবিনিময় করছে।’
আরও পড়ুন:
ঢাকায় দূতাবাস বন্ধ করল উত্তর কোরিয়া
আরও পড়ুন:
তিন সন্তানকে হত্যার পর থানায় গেলেন বাবা