টিআইর অপবাদকে সরকার পরোয়া করে না: ওবায়দুল কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক
৩০ জানুয়ারী ২০২৪, ১৪:৫৮
শেয়ার :
টিআইর অপবাদকে সরকার পরোয়া করে না: ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিশ্বব্যাপী দুর্নীতির ধারণা সূচক নিয়ে টিআই-এর প্রতিবেদন রাজনৈতিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট। কোনো জোট বা দেশের স্বার্থ সংরক্ষণে করা এসব অপবাদকে সরকার পরোয়া করে না।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগের সভাপতির কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপির কালো পতাকা কর্মসূচিকে গণবিরোধী আখ্যা দিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘এটি দেশের গণতান্ত্রিক অভিযাত্রার বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র। এ কর্মসূচি প্রত্যাহার করা না হলে জনগণের জানমালের নিরাপত্তা ঠিক রাখতে পাহারায় যাবে আওয়ামী লীগ। সহিংসতা হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের দায়িত্ব পালন করবে।’ 

বিএনপি নেতাকর্মীদের মুক্তির বিষয়ে জাতিসংঘের বিবৃতি নিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘যারা এই বিবৃতি দিয়েছেন তারা তথ্যের ওপর ভিত্তি করে এ ধরনের অভিযোগ দিয়েছেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হিসাবে ১০ হাজারের বেশি বন্দী জেলে নেই। অপরাধ করলে বিচার করতে হবে। জামিনযোগ্য অপরাধ হলে জামিন পাচ্ছে। আইন তার নিজস্ব গঠিত চলবে। জাতিসংঘ এবং কংগ্রেসম্যানরা যে বিবৃতি দিয়েছেন তা ভালোভাবে খতিয়ে দেখতে অনুরোধ করছি। ’

এ সময় আওয়ামী লীগের কর্মসূচি নিয়ে সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘পুলিশের অনুমতি না পাওয়ায় আমরা কর্মসূচি স্থগিত করেছি। সরকারি দল বলে কি নিয়ম মানব না?’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ত্রুটিমুক্ত গণতন্ত্র পৃথিবীর কোথাও এখন নেই। যারা নির্বাচন পরবর্তী প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন, নতুন সরকার এবং প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন তারা কেউ ত্রুটিপূর্ণ নির্বাচনের কথা বলেননি। খোদ যুক্তরাষ্ট্রও বলেনি। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে একটা প্রতিক্রিয়া ছিল ওয়াশিংটনের। কিন্তু ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন এবং গণতন্ত্রের অভিযাত্রায় বাংলাদেশের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করার কথা বলেছেন। ইউরোপের বিভিন্ন দেশও একসঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার করেছেন। জাতিসংঘ মহাসচিবও প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। 

মন্ত্রিসভার কলেবর বৃদ্ধি নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী জানান, সংরক্ষিত নারী আসনের নির্বাচন শেষ হলে সেখান থেকে কিছু যুক্ত হতে পারে। আবার প্রধানমন্ত্রী ইচ্ছা করলে বৃদ্ধি করতে পারেন।