আড়াই মাস পর কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতে পর্যটকদের ভিড়
প্রায় আড়াই মাস পরে পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত। দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরে এই প্রথম কুয়াকাটা ফিরেছে তার নিজস্ব রূপে। হাসি ফুটেছে পর্যটন ব্যবসায়ীদের মুখে। দীর্ঘদিনের লোকসান কাটিয়ে উঠতে পারবেন বলে আশাবাদী তারা।
আজ শুক্রবার সকাল থেকেই কুয়াকাটা মুখরিত হয় পর্যটকদের পদচারণায়। হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট, বিনোদনকেন্দ্রসহ সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে লক্ষ্য করা যায় পর্যটকদের চোখে পড়ার মতো ভিড়। এছাড়া চারদিনের মেঘাচ্ছন্ন আকাশও আজ ছিল পুরোপুরি পরিষ্কার।
ঢাকার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কুয়াকাটায় বেড়াতে আসা সাব্বির নামের এক ছাত্র বলেন, ‘আমরা প্রায় ৮০ জন শিক্ষাসফরে এসেছি। নির্বাচনের কারণে আগে প্ল্যান করেও আসতে পারিনি। আজকে আবহাওয়া ভালো আছে, কুয়াকাটায় এসে ভালো লাগছে।
খুলনা থেকে কুয়াকাটায় বেড়াতে আসা জনি বসু বলেন, ‘পরিবারের সদস্যদের নিয়ে এসেছি। এর আগেও কুয়াকাটা এসেছি আমরা। সমুদ্র বাংলাদেশের অনেক জায়গা থেকেই দেখা যায়, তবে কুয়াকাটা থেকে দেখার সাধ একটু আলাদা। কারণ কুয়াকাটা থেকে সূর্য উদয় এবং অস্ত দুটোই দেখা যায়।’
কুয়াকাটার পুরনো আবাসিক হোটেল সাগর -এর ম্যানেজার কামাল হোসেন বলেন, ‘অনেক মাস পরে আজকে আমাদের হোটেল শতভাগ বুকিং রয়েছে। গত দুই মাসে স্টাফদের বেতন দিতেই হিমশিম খেয়েছি। এখন থেকে পর্যটক বাড়বে বলে মনে করছি আমরা।’
কুয়াকাটা হোটেল মোটেল ওনার্স অ্যসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোতালেব শরীফ বলেন, ‘দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতার এবং নির্বাচনের কারণে প্রায় তিন মাস বলতে গেলে পর্যটকশুন্য ছিল কুয়াকাটা। গতকাল এবং আজকে বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের লোকজন কুয়াকাটায় ঘুরতে এসেছে। আশা করছি, এ বছর আমাদের ব্যবসা ভালো হবে। সকল হোটেল মালিকরা তাদের লোকসান কাটিয়ে উঠবে বলে আমি আশা করি।’
ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা রিজিওনের পরিদর্শক আবু হাসনাইন পারভেজ বলেন, ‘বেশ কিছু দিন পর্যন্ত কুয়াকাটায় তেমন পর্যটকের চাপ না থাকলেও আজ চোখে পড়ার মতো পর্যটক কুয়াকাটায়। পর্যটকদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দিচ্ছে কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ। আমাদের টহল টিম মাঠে রয়েছে। পর্যটকরা যাতে কোনো ধরনের হয়রানির শিকার না হন সেদিকে আমরা নজর রাখছি।’