ইউনূসকে নিয়ে দেওয়া চিঠি প্রত্যাহারে ১২ মার্কিন সিনেটরকে পাল্টা চিঠি

অনলাইন ডেস্ক
২৫ জানুয়ারী ২০২৪, ১৬:৪৮
শেয়ার :
ইউনূসকে নিয়ে দেওয়া চিঠি প্রত্যাহারে ১২ মার্কিন সিনেটরকে পাল্টা চিঠি

শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে হয়রানি বন্ধের আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ১২ সিনেটরের দেওয়া চিঠি প্রত্যাহার চেয়ে পাল্টা চিঠি পাঠানো হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ই-মেইল ও তাদের ঠিকানায়িএ চিঠি পাঠান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লবসহ তিনজন আইনজীবী।

আজ পাঠানো চিঠিতে ১২ মার্কিন সিনেটরের চিঠি প্রত্যাহার চেয়ে বলা হয়েছে, ১২ সিনেটরের চিঠি বাংলাদেশের বিচার বিভাগের প্রতি অবমাননাকর। শ্রমিকদের অধিকারের প্রতি অসম্মান দেখানো এবং বিশ্বের শ্রমিকদের অসম্মান করা।

সম্প্রতি নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে হয়রানি বন্ধের আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে চিঠি পাঠান মার্কিন সিনেটের মেজরিটি হুইপ ও সিনেট জুডিশিয়ারি কমিটির চেয়ার ডিক ডারবিন, টড ইয়ং, টিম কাইন, ড্যান সুলিভান, জেফরে এ মার্কলে, জিন শাহিন, এডওয়ার্ড মার্কি, শেরোড ব্রাউন, পিটার ওয়েলশ, শেলডন হোয়াইটহাউস, রন ওয়াইডেন ও কোরি এ বুকার।

গত সোমবার এ চিঠি পাঠানোর পর সিনেটর ডিক ডারবিন বিষয়টি নিয়ে টুইট করেন।

মার্কিন সিনেটরদের দেওয়া চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘শান্তিতে নোবেল পুরস্কারজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে ধারাবাহিক হয়রানি এবং আরও বিস্তৃতভাবে বলতে গেলে, সরকারের সমালোচকদের বিরুদ্ধে যেভাবে আইন ও বিচারব্যবস্থার অপব্যবহার করা হচ্ছে, তা বন্ধের আহ্বান জানিয়ে আমরা আপনার কাছে লিখছি।’

এতে বলা হয়, ‘এক দশকের বেশি সময় ধরে অধ্যাপক ইউনূস বাংলাদেশে দেড় শতাধিক ভিত্তিহীন মামলার মুখোমুখি হয়েছেন। জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার টুর্ক এবং অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মতো মানবাধিকার সংস্থাগুলো তার বিরুদ্ধে বিচারপ্রক্রিয়ায় অনিয়মের উল্লেখ করেছে। এগুলোর মধ্যে সম্প্রতি দেশের শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগের মামলায় মুহাম্মদ ইউনূসের ছয় মাসের কারাদণ্ডের রায়ের মামলাও রয়েছে।’

চিঠিতে বলা হয়, ‘খ্যাতনামা এই সংস্থাগুলো বলেছে, বিচারপ্রক্রিয়ার গতি এবং বারবার ফৌজদারি কার্যধারার ব্যবহার রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিচারব্যবস্থার অপব্যবহারের ইঙ্গিত দেয়। মুহাম্মদ ইউনূসকে বারবার ও দীর্ঘ সময় ধরে হয়রানি বাংলাদেশে ক্রমে নিয়ন্ত্রণ বাড়তে থাকা পরিবেশে সুশীল সমাজের অনেক সদস্যকে যে পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হচ্ছে, তা তুলে ধরে।’