সমকামিতাকে ‘প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিয়েছে’ ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়
‘ট্রান্সজেন্ডার’ নিয়ে বক্তব্য দিয়ে আলোচনায় আসা ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আসিফ মাহতাবকে চাকরিচ্যুত করার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম কাউন্সিল।
আজ সোমবার সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম কাউন্সিলের সভাপতি শহিদুল ইসলাম কবির ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এ ঘটনার মাধ্যমে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় সমকামিতাকে ‘প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিয়েছে’।
বিবৃতিতে মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম কাউন্সিল সভাপতি বলেন, ‘ড. আসিফ মাহতাব গত ১৯ জানুয়ারি ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে অনুষ্ঠিত শিক্ষা সেমিনারে পাঠ্যপুস্তকে ট্রান্সজেন্ডারের নামে ইসলাম নিষিদ্ধ সমকামিতাকে উৎসাহিত করার গল্পের উদ্ধৃতি দিয়ে সমকামিতা থেকে ৯২ শতাংশ মুসলমানদের সতর্ক করতে বক্তব্য দিয়েছিলেন। এ বক্তব্যের কারণে লেকচারার আসিফ মাহতাবকে শিক্ষাদান থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়ে সমকামিতাকে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।’
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
শহিদুল ইসলাম কবির বলেন, ‘৯২ শতাংশ মুসলমানদের দেশে ট্রান্সজেন্ডারের নামে সমকামিতা দেশের মানুষ যেমন মেনে নেবে না, তেমনি আসিফ মাহতাবকে পাঠদান থেকে বিরত রাখা সহ্য করবে না।’
তিনি বলেন, ‘লেকচারার আসিফ মাহতাবকে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যদি পুনরায় পাঠদানের ব্যবস্থা না করে, তবে দেশের ৯২ শতাংশ মুসলমানরা শুধু ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় নয়, ব্র্যাক সংশ্লিষ্ট সকল প্রতিষ্ঠান বয়কট করতে বাধ্য হবে।’
আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?
প্রসঙ্গত, গত ১৯ জানুয়ারি রাজধানীতে ‘বর্তমান কারিকুলামে নতুন পাঠ্যপুস্তক : বাস্তবতা ও ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তব্য দিতে গিয়ে ট্রান্সজেন্ডার বিষয়ক গল্প পাঠ্যবইয়ে অন্তর্ভুক্ত করার প্রতিবাদ জানান শিক্ষক আসিফ মাহতাব। তিনি বলেন, ‘সপ্তম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে ট্রান্সজেন্ডারের গল্প ঢুকিয়ে শিক্ষার্থীদের মগজধোলাই করা হচ্ছে।’ এ সময় তিনি সবার সামনে ওই পাঠ্যবই থেকে ‘শরীফ থেকে শরীফা’ গল্পের পাতা ছিঁড়ে ফেলেন। এ ঘটনার পর ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।