কুড়িগ্রামে সর্বনিম্ন তাপমাত্রার রেকর্ড, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ
কুড়িগ্রামের রাজারহাটে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ প্রকট ধারণ করেছে। আজ সোমবার সকাল ৯টায় কুড়িগ্রাম অঞ্চলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গতকাল ছিল ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত ২ সপ্তাহ ধরে এ অঞ্চলের তাপমাত্রা ৮ ডিগ্রি থেকে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠানামা করছে।
জেলায় তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে থাকায় সোমবারও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। তবে বেশ কিছু বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রেখেছে কর্তৃপক্ষ। ফলে কমলমতি ছেলেমেয়েরা কিছুটা বাধ্য হয়েই স্কুলে যাচ্ছে। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বেসরকারি হওয়ায় প্রশাসন দৃষ্টি দিচ্ছে না বলে অভিযোগ অভিভাবকদের।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার নজরুল ইসলাম ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুর রব বলেন, জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে থাকায় সোমবারও সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। স্ব স্ব প্রতিষ্ঠান প্রধানদের ম্যাসেজের মাধ্যমে বিষয়টি জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, সোমবার সকালে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ রকম তাপমাত্রা আরও দুই-একদিন অব্যাহত থাকতে পারে।
রাজারহাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাবেরী রায় বলেন, এ অঞ্চলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস হওয়ায় শীতজনিত কারণে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে।
এদিকে প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় এ অঞ্চলের মানুষ জবুথুবু হয়ে পড়েছে। মাত্র দুই দিনের ব্যবধানে দ্বিতীয় ধাপে শৈত্যপ্রবাহে মানুষ নাকাল হয়ে পড়েছে। রাজারহাট সদর ইউনিয়নের ভ্যানচালক সাহেব আলী বলেন, ‘এবারেই সবচেয়ে বেশিদিন ঠাণ্ডা ও শীত। দুই সপ্তাহ হয়া গ্যালো তবু ঠাণ্ডা গেল না। কাজ কাম তো দূরের কথা, মানুষ ঘর থাকি বাইরে বেড়াতে পারছে না। ঠাণ্ডায় কিছুক্ষণ ভ্যান নিয়া বেড়ালে হাত পাও শিষ্টা নাগে।’
প্রচণ্ড ঠাণ্ডা ও শীতের কারণে গত দুই সপ্তাহে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট, সর্দি-কাশিসহ ঠাণ্ডাজনিত রোগ বেড়ে গেছে। স্থানীয় কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো এবং ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভিড় করছে রোগীরা। তবে চিকিৎসা সেবায় কোনো ওষুধের ঘাটতি নেই বলে দাবি করেছে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মিজানুর রহমান।