রেললাইনের পাশে পড়ে ছিল চালকের মরদেহ
সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা ঘিলাছড়া ইউনিয়নের কালাকাটিতে রেললাইনের পাশ থেকে এক সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালকের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে রেলওয়ে থানা পুলিশ। গতকাল শনিবার মধ্য রাতের কোনো এক সময়ে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা পুলিশের। নিহত চালকের নাম লিল মিয়া (৩৫)।
ঘিলাছড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. সাইফুল ইসলাম মনা বলেন, শনিবার রাত ১২টার দিকে ফেঞ্চুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) রুমে ছিলাম। এ সময় ফেঞ্চুগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান তৈয়ফুর রহমান শাহীন আমার সঙ্গে ছিলেন। এ সময় কেউ একজন ওসি সাহেবের মোবাইলে বিষয়টি জানান। ওসি গাজী আতাউর রহমান ও থানা পরিদর্শক (তদন্ত) আরিফ হোসেনসহ পুলিশের একটি দলের সঙ্গে আমরা ঘটনাস্থলে আসি। পরে মাইজগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান জুবেদ আহমদ চৌধুরী শিপুও ঘটনাস্থলে আসেন। এ সময় সড়কে পড়েছিল চালকের ব্যবহৃত সিএনজি অটোরিকশা (মৌলভীবাজার থ-১২-৪৩৭০)।
চেয়ারম্যান মো. সাইফুল ইসলাম মনা জানান, কালাকাটি এলাকার পাশের টিলায় মোবাইলের রিং বেজে ওঠে। অনেক খোঁজাখুঁজির পর সেখান থেকে পুলিশ চালকের মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করে। এ সময় চালক লিল মিয়ার গলাকাটা মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায় রেললাইনের পাশে। নিহত লিল মিয়া কুলাউড়া উপজেলার ভাটেরা বাজার ইউনিয়নের হোসেনপুর গ্রামের বাসিন্দা।
ফেঞ্চুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী আতাউর রহমান জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছাই। খবর পেয়ে সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গোলাপগঞ্জ সার্কেল) সুদীপ কুমার ও সিলেট রেলওয়ে থানার পুলিশও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ সময় রেলওয়ে থানা পুলিশ মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরিসহ প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। এ বিষয়টি সিলেট জোন সিআইডিকে অবহিত করা হলে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে নমুনা ও আলামত সংগ্রহ করেন। মরদেহ রেলওয়ে থানা পুলিশ নিয়ে গেছে।
এ বিষয়ে জানতে সিলেট রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) মোবাইলে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।