ফিলিস্তিন রাষ্ট্র নিয়ে চাপকে অগ্রাহ্য করেছেন নেতানিয়াহু
ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের নিরাপত্তার ওপর ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তিনি বলেছেন, তার এই শর্তটি ভবিষ্যৎ ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার বিপরীত।গতকাল শনিবার এ মন্তব্য করে ভবিষ্যৎ ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের ব্যাপারে অঙ্গীকারের জন্য যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যদের দিক থেকে নেতানিয়াহুর সরকারের ওপর যে চাপ রয়েছে তা তিনি অগ্রাহ্য করলেন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, নেতানিয়াহু ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গত শুক্রবার ফোনে কথা বলেন। ফোনালাপে তারা ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা করেন।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর সর্বশেষ হস্তক্ষেপ গাজা সংঘাতের অবসান শেষে গাজা ও পশ্চিম তীরের ভবিষ্যৎ শাসনের বিষয়ে তার সরকার এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে একটি জনবিভক্তিকে আরও গভীর করে তোলে।
ইসরায়েলের পাশাপাশি একটি ভবিষ্যৎ ফিলিস্তিন রাষ্ট্রে বিশ্বাস করে যুক্তরাষ্ট্র। ধারণাটি ‘দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধান’ নামে পরিচিত, যা দীর্ঘমেয়াদী স্থিতিশীলতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তবে হোয়াইট হাউস এই সপ্তাহে স্বীকার করেছে যে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল সরকার স্পষ্টভাবে এই বিষয়গুলোকে ভিন্নভাবে দেখে।
আরও পড়ুন:
রোগীর পেটে জীবন্ত মাছি!
প্রায় এক মাসের মধ্যে প্রথমবারের মতো ফোনে কথা বলেন বাইডেন ও নেতানিয়াহু। এই ফোনালাপের পর সাংবাদিকদের কাছে বাইডেন জোর দিয়েছিলেন, নেতানিয়াহু প্রধানমন্ত্রী থাকাকালেই একটি দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধান এখনো সম্ভব।
তবে এ বিষয়ে গতকাল নেতানিয়াহু তার অবস্থান আরও জোরালো করেন, যা তিনি তার রাজনৈতিক জীবনের বেশির ভাগ সময়ই বজায় রেখেছেন। গত সপ্তাহের শুরুতেও তিনি তার এই অবস্থানের পুনরাবৃত্তি করেছিলেন।
বাইডেনের সঙ্গে ফোনালাপ নিয়ে নেতানিয়াহুর কার্যালয় থেকে একটি বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সঙ্গে আলাপে প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু তার নীতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
আরও পড়ুন:
২৫ জিম্মিকে মুক্তি দিল হামাস
তিনি বলেছেন, হামাস ধ্বংস হওয়ার পর ইসরায়েলকে অবশ্যই গাজার ওপর নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখতে হবে, যাতে গাজা আর ইসরায়েলের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াতে না পারে। এটি এমন একটি প্রয়োজনীয়তা, যা ফিলিস্তিনের সার্বভৌমত্বের দাবির সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
প্রসঙ্গত, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত শুরুর পর এখন পর্যন্ত গাজায় ২২ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত এবং অর্ধলাখের বেশি আহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশই নারী ও শিশু।