সাইমনের অব্যাহতি চাওয়া নিয়ে যা বললেন ইলিয়াস কাঞ্চন
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির বর্তমান কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে সক্রিয় কর্মী সাইমন সাদিক। তবে হুট করে আজ শনিবার সমিতির সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন বরাবর ‘পদ থেকে অব্যাহতি’ চেয়ে চিঠি দিয়েছেন এই অভিনেতা। জানিয়েছেন, সাম্প্রতিক সময়ের কিছু বিষয় নিয়ে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সঙ্গে তার মত পার্থক্য থাকায় এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সাইমন।
সমিতিকে দেওয়া চিঠিকে সাইমন লিখেছেন, ‘সম্প্রতি সমিতির নেওয়া বেশ কিছু সিদ্ধান্ত ও নীতির সঙ্গে আমি একমত হতে পারছি না। বিশেষ করে সাফটা চুক্তিতে বিদেশি ভাষার সিনেমা আমদানি করে দেশীয় চলচ্চিত্র শিল্পকে হুমকিতে ফেলে উদ্ভূত বিতর্কিত পরিস্থিতিতে সমিতির কার্যকরী পরিষদের নিষ্ক্রিয়তা আমার কাছে সমর্থনযোগ্য নয়।’
চিঠিতে আরও উল্লেখ করেছেন, ‘এছাড়া আমার অভিনীত “শেষ বাজি” চলচ্চিত্রটি মুক্তির দিনেই নিয়ম নীতি না মেনে বিদেশি আরও একটি চলচ্চিত্র মুক্তি পেয়েছে এবং আমাদের অধিকাংশ সিনেমা হলে প্রদর্শিত হয়েছে। এ কারণে আমাদের চলচ্চিত্র শিল্প এবং আমার ক্যারিয়ার যথেষ্ট ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এসব বিষয় নিয়ে মত পার্থক্য থাকায় সমিতির কার্যকরী কমিটিতে থাকা আমি অযৌক্তিক এবং অনুচিত মনে করছি। তাই সহ-সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে অব্যাহতি চাইছি। অবাক হই বারবার এটা ভেবে যে, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী সকল ক্ষেত্রে আমরা স্বনির্ভর হবার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি কিন্তু চলচ্চিত্র শিল্পে ক্রমাগত পরনির্ভরশীল হচ্ছি, বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহবান রইল। আমি অতীতের মতোই দেশীয় চলচ্চিত্র বিকাশের পক্ষে কাজ করে যাব।’
আরও পড়ুন:
ওটিটি প্ল্যাটফরম আমার জন্য বেশ লাকি
এদিকে, সাইমনের অব্যাহতি চাওয়ার বিষয়ে শিল্পী সমিতির সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, ‘বর্তমান সমিতির মেয়াদই তো শেষের পথে। আগামী মাসে নির্বাচন। শেষ সময় এসে অব্যাহতি চাওয়ার কী আছে!’
সাইমনের অভিযোগগুলোর প্রসঙ্গে সমিতির এই নেতা বলেন, ‘সাইমনও তো এই কমিটির গুরুত্বপূর্ণ একজন নেতা। যেসব বিষয় নিয়ে তিনি কথা বলেছেন, সেগুলোতে তো কখনও কমিটির মিটিংয়ে বসে বলেননি! কখনও উপস্থাপনও করেননি। শেষ মুহূর্তে এসে কেন এভাবে কথাগুলো বললেন?’
আরও পড়ুন:
নানাকে নিয়ে পরীর আবেগঘন পোস্ট
তিনি আরও বলেন, ‘আমার তো মনে হয়, আমদানি ছবির সঙ্গে তার ছবি মুক্তি পেয়েছে বলেই হঠাৎ প্রতিবাদী হয়ে উঠেছেন তিনি। না হলে আগে কেন তিনি এ বিষয়ে সোচ্চার হলেন না। তিনিও তো গুরুত্বপূর্ণ একজন নেতা, কেন নিষ্ক্রিয় ছিলেন!’
উল্লেখ্য, গেল শুক্রবার দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে তিনটি সিনেমা ‘হুব্বা’, ‘শেষ বাজি’ ও ‘কাগজের বউ’। নিয়ম অনুযায়ী- দেশীয় দুটি সিনেমা মুক্তি পেলে আমদানি সিনেমা প্রেক্ষাগৃহে আসবে না। তবে শেষ অবধি মোশাররফ করিম অভিনীত ভারতীয় সিনেমা ‘হুব্বা’ মুক্তি পেয়েছে। যা সিনেমা হলও পেয়েছে সর্বাধিক।