জাতীয় কবিতা উৎসব ১ ও ২ ফেব্রুয়ারি

ঢাবি প্রতিবেদক
২০ জানুয়ারী ২০২৪, ১৮:০১
শেয়ার :
জাতীয় কবিতা উৎসব ১ ও ২ ফেব্রুয়ারি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারসংলগ্ন চত্বরে আগামী ১ ও ২ ফেব্রুয়ারি শুরু হচ্ছে জাতীয় কবিতা উৎসব-২০২৪। উৎসবের এবারের প্রতিপাদ্য- ‘যুদ্ধ গণহত্যা সহে না কবিতা’। উৎসবে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা কবিদের পাশাপাশি অংশ নেবেন ভারত, নেপাল, ফিলিপাইন, মিশর, ইরাক, জার্মানি ও আর্জেন্টিনার কবিরা।

জাতীয় কবিতা উৎসবের ৩৬তম আসরের উদ্বোধন করবেন কবি নির্মলেন্দু গুণ। উৎসব উপলক্ষে আজ শনিবার ঢাবির টিএসসির উৎসব দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় কবিতা পরিষদের সভাপতি ও ঢাবির উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) মুহাম্মদ সামাদ, সাধারণ সম্পাদক তারিক সুজাত, কবি আসাদ মান্নান, কাজল বন্দ্যোপাধ্যায়, আসলাম সানী, দিলারা হাফিজ, নিপু শাহাদাত, ফয়জুল আলম পাপপু প্রমুখ।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জাতীয় কবিতা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক তারিক সুজাত বলেন, ‘স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের অগ্নিগর্ভ থেকে জন্ম নেওয়া জাতীয় কবিতা উৎসব ও জাতীয় কবিতা পরিষদের নিরন্তর এই সংগ্রামের ইতিহাস আজ আর কারও অজানা নয়। আমরা অব্যাহতভাবে স্বৈরাচার, সাম্প্রদায়িকতা, মৌলবাদ, যুদ্ধাপরাধের বিচার এবং বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিচারের কথা বলে এসেছি। কবিদের দ্রোহের স্ফুলিঙ্গ থেকে জন্ম নিয়ে একটি উৎসব জাতীয় থেকে আন্তর্জাতিক উৎসবে রূপ নিয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘ভাষা আন্দোলন থেকে মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযুদ্ধোত্তর নানা সংকটকালে আমাদের কবিদের অবস্থান ছিল প্রগতির পক্ষে। স্বৈরাচার ও মৌলবাদবিরোধী আন্দোলন এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রামে বাংলাদেশের কবি-লেখক- শিল্পী-প্রকাশক এবং মুক্তবুদ্ধির মানুষেরা সোচ্চার ছিলেন। আজ যখন পৃথিবীর দেশে দেশে অশুভ শক্তির দাপটে নিরপরাধ মানুষ বিপন্ন। নারী, শিশু, বৃদ্ধসহ সাধারণ মানুষের লাশের স্তুপের ওপর ক্ষমতার অহমিকা দেখাচ্ছে সাম্রাজ্যবাদী শক্তি। তখন আমরা বাংলাদেশের কবিরা এবং আরো বেশ কয়েকটি দেশের কবি ও কবিতাপ্রেমীরা একত্রিত হয়ে এই উৎসবে যুদ্ধ ও গণহত্যাসহ সব অন্যায়ের প্রতিবাদ করব।’

তারিক সুজাত বলেন, ‘এ বছর আমাদের কবিতা উৎসবের মর্মবাণী, ‘‘যুদ্ধ গণহত্যা সহে না কবিতা’’। দুইদিনব্যাপী উৎসবে কবিতাপাঠ, নিবেদিত কবিতা, সেমিনার, আবৃত্তি ও সংগীতের মধ্য দিয়ে আমরা এই স্লোগানকে মূর্ত করে তুলব। জাতীয় কবিতা উৎসব কবিতার বৃহত্তম এই ঐতিহ্যবাহী আয়োজন শুধু বাংলাদেশের নয়, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এক অনন্য উৎসব- যা ইতোমধ্যে সারা বিশ্বে বিশেষ মর্যাদা অর্জন করেছে। সূচনালগ্ন থেকে আজ পর্যন্ত প্রতিটি উৎসবে প্রতিদিন প্রায় ১০ হাজার কবিতানুরাগী ও শ্রোতার অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে এই উৎসব যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে তার নজির পৃথিবীতে বিরল।’

দুইদিনব্যাপী উৎসবে কবিতাপাঠ, নিবেদিত কবিতা, সেমিনার, আবৃত্তি ও সংগীত পরিবেশন হবে। উৎসবে ‘জাতীয় কবিতা পরিষদ পুরস্কার’প্রাপ্ত কবির নাম ঘোষণাও করা হবে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।