ডুবে যাওয়া ‘রজনীগন্ধা’ ফেরি উদ্ধারে পাটুরিয়ায় ‘প্রত্যয়’
মানিকগঞ্জের পাটুরিয়ায় ডুবে যাওয়া ফেরি রজনীগন্ধা উদ্ধারে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছেছে উদ্ধারকারী জাহাজ ‘প্রত্যয়। আজ শুক্রবার দুপুর আড়াইটার দিকে পাটুরিয়ার ৫ নম্বর ঘাটের কাছে দুর্ঘটনাস্থলের পাশে জাহাজটি পৌঁছায়।
বিআইডব্লিটিসি’র আরিচা কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক শাহ মো. খালেদ নেওয়াজ বলেন, নদীতে ঘন কুয়াশ থাকায় উদ্ধারকারী জাহাজ প্রত্যয় ঘটনাস্থলে আসতে কিছুটা বিলম্ব হলেও আড়াইটার দিকে পাটুরিয়া ঘাটে এসে পৌঁছেছে। প্রত্যয়ের মাধ্যমে ফেরি উদ্ধার সম্ভব না হলে বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিআইডব্লিউটিএ’র নৌ সংরক্ষণ ও পরিচালন বিভাগের পরিচালক মো. শাহ জাহান জানান, উদ্ধারকারী জাহাজ হামজা ও রুস্তমের সক্ষমতা প্রতিটির ৬০ টন করে। নারায়নগঞ্জ থেকে রওনা হওয়া প্রত্যয়ের সক্ষমতা ২৫০ টন। সেক্ষেত্রে তিন জাহাজ একত্রে চেষ্টা করলে ডুবে যাওয়া ফেরিটি উদ্ধার করা সম্ভব। তবে তারা ঘটনাস্থলে ডুবে যাওয়া ট্রাক উদ্ধারের কাজ চালাচ্ছে।
জানা গেছে, গত বুধবার সকাল ৮টার দিকে নয়টি যানবাহন নিয়ে পাটুরিয়া ঘাটের অদূরে ডুবে যায় রজনীগন্ধা-৭ নামে ফেরিটি। ফেরি ডোবার কারণ অনুসন্ধানে জেলা প্রশাসন ও বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ-বিআইডব্লিউটিএ গঠিত দুটি তদন্ত কমিটি কাজ করছে। সাত কর্মদিবসের মধ্যে কমিটির তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা রয়েছে।
এর আগে, গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে উদ্ধারকারী জাহাজ ‘রুস্তম’ এসে পৌঁছে পাটুরিয়া ঘাট এলাকায়। ওইদিন সকাল ১০টায় নৌবাহিনী ডুবুরি দল ডুবে যাওয়া ফেরির আশপাশে ট্রাকের অনুসন্ধান চালায়। এরই মধ্যে একটি ট্রাকের সন্ধান পেয়েছে বলে জানায় নৌবাহিনী ডুবুরি দলের প্রধান শাহপরান ইমন। তিনি জানান, তাদের ডুবুরি দল ভাটির দিকেও খুঁজে দেখছেন। ডুবে থাকা বাকি সাতটি ট্রাকের সন্ধান চালাচ্ছেন তারা।
এদিকে, উদ্ধার কাজ ঢিমতালে চলছে জানিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন ডুবে যাওয়া ট্রাকের মালিক ও শ্রমিকরা।
ফেরিডুবির ঘটনায় ২০ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে চার জন সাঁতরে কূলে উঠেছেন। তবে এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের কোনো খবর না পাওয়া গেলেও ফেরির দ্বিতীয় ইঞ্জিনচালক হুমায়ুন কবিরের (৩৯) এখনও নিখোঁজ রয়েছেন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, সর্বশেষ গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টার দিকে পাটুরিয়া ঘাটের পশ্চিম অংশ থেকে একটি ট্রাক (নম্বর-কুষ্টিয়া ট-১১-২৬৩৩) উদ্ধার করা হয়।