পঞ্চগড়ে তৃতীয় দফার শৈত্যপ্রবাহ, বিপাকে চাষিরা
হাড় কাঁপানো শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে দেশের উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া। প্রায় এক সপ্তাহ ধরে ঘন কুয়াশা আর হিমেল বাতাসের তাণ্ডবে বিপর্যস্ত পরিস্থিতিতে পড়েছে এ জনপদ। তীব্র শীতে বিপাকে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষ থেকে শুরু করে শিশু ও বয়োজ্যেষ্ঠরা।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৮ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে ভোর ৬টায় একই তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এই তাপমাত্রা রেকর্ডের মধ্যদিয়ে এ জেলায় তৃতীয় দফা মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে। জেলার প্রথম শ্রেণির তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের তথ্যানুযায়ী, নতুন বছরের ৩ জানুয়ারি থেকে ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত ১০ ডিগ্রির নিচে তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। তার মধ্যে ৩ জানুয়ারি ৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি, ৪ জানুয়ারি ৮ দশমিক ৪, ৫ জানুয়ারি ৮ দশমিক ৪, ৬ জানুয়ারি ৯ দশমিক ৭, ৭ জানুয়ারি ৮ দশমিক ১ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এই সময়ে জেলার ওপর দিয়ে মাঝারি ও মৃদু শৈত্য প্রবাহ যায়। দ্বিতীয় দফায় গত ১৩ জানুয়ারি ৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি ও ১৪ জানুয়ারি ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
প্রচণ্ড ঠাণ্ডার কারণে চাষিরা কাজ করতে পারছেন না। বীজতলা কিছুটা ক্ষতি হচ্ছে। তীব্র শীতের কারণে আলুতে ছত্রাকের আক্রমণ বেড়েছে। পাতা কুঁকড়ে যাচ্ছে। সমস্যা সমাধানে ছত্রাকনাশক স্প্রে করতে হচ্ছে। এতে উৎপাদন খরচ কয়েক গুণ বেড়ে যাচ্ছে।
এদিকে শীতের কারণে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে নিউমোনিয়া, অ্যাজমা, হাঁপানি, শ্বাসকষ্ট ও ডায়রিয়াসহ শীতজনিত রোগ। জেলা ও উপজেলার হাসপাতালগুলোর আউটডোরে ঠাণ্ডাজনিত রোগীরা চিকিৎসা নিচ্ছেন। চিকিৎসার পাশাপাশি শীতজনিত রোগ থেকে নিরাময় থাকতে বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান করছেন চিকিৎসকরা।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ জানান, এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে ভোর থেকে ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন থাকে এ জনপদ। ঘন কুয়াশার কারণে গতকালও সূর্যের দেখা মেলেনি। উত্তর-পূর্ব বা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে বায়ু প্রবাহিত হওয়ায় শীতের তীব্রতা বেশি অনুভূত হয়।